এআই নির্যাতনের প্রতিবাদে ক্ষোভ ঝাড়লেন শবনম ফারিয়া
আমাকে শর্টস পোশাকে দেখার কি খুব ইচ্ছা?

সোশ্যাল মিডিয়ায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে বিভ্রান্তিকর ও আপত্তিকর কনটেন্ট ছড়ানোর নতুন শিকার হয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। অন্য এক নারীর শরীরের ওপর ফারিয়ার মুখ বসিয়ে তৈরি করা ছবিগুলো ছড়ানো হয়েছে ফেসবুকে, তাও আবার নিষিদ্ধ ঘোষিত জিঙ্গি ছাত্রলীগের সাবেক নেতার অ্যাকাউন্ট থেকে।
‘আমার ছবি এডিট করে খোলামেলা পোশাকে দেখার এত কষ্ট কেনো ভাইয়াদের?’ — প্রশ্ন ফারিয়ার
এ ঘটনায় চুপ না থেকে সরাসরি ফেসবুকে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন অভিনেত্রী। ভাইরাল হওয়া ছবিগুলোর স্ক্রিনশট শেয়ার করে ফারিয়া লেখেন, এবার এক গন্ডার বড় ভাই এ আপার ছবিতে আমার মুখ এডিট করে বসিয়ে পোস্ট দিয়েছে। আমি বুঝলাম না, এ ভাইয়াদের আমাকে এত খোলামেলা পোশাকে দেখার ইচ্ছা কেনো? এত কষ্ট করে এডিট করে!
এরপর রসিকতা ও খোঁচা মিশিয়ে যোগ করেন, আমি তো এমনেই স্লিভলেস পরে ছবি দেই। ওইগুলো যথেষ্ট অশালীন না লাগায় ওনাদের হতাশা দেখলে মাঝে মাঝে আমার মন চায়, এমন কয়টা ছবি তুলেই ফেলি। প্রমিজ করলাম, নেক্সট বিদেশ ঘুরতে গেলে আপনাদের এ এডিটিংয়ের কষ্ট কমায় দেয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করবো।
এআই ব্যবহার করে নারীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল সহিংসতা: বেড়ে চলেছে উদ্বেগ
শুধু ফারিয়া নন, কিছুদিন আগেই একই ধরনের ঘটনার শিকার হয়েছিলেন চিত্রনায়িকা পরীমণি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া এসব মনগড়া ছবি শুধু তারকাদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা নয়, সম্মানকেও মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ণ করছে।
নারীর সম্মান নিয়ে এমন বিদ্রূপ আর প্রযুক্তির অপব্যবহার ঘিরে সামাজিক উদ্বেগ বাড়ছে। বিশেষ করে যেসব অ্যাকাউন্ট থেকে এসব কনটেন্ট ছড়ানো হচ্ছে, তাদের রাজনৈতিক বা ক্ষমতাকেন্দ্রিক সম্পৃক্ততা থাকলে প্রশ্ন আরও জোরালো হয়ে ওঠে—সাধারণ মানুষ বিচার চাইবে কোথায়?
এর আগেও প্রতিবাদে ছিলেন সরব
শুধু এই ঘটনাই নয়, অতীতেও সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা অপমানজনক ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের বিরুদ্ধে ফারিয়াকে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ জানাতে দেখা গেছে। এমন এক ঘটনায় এক যুবকের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ করে তার চাকরি পর্যন্ত চলে যায়।
শুধু শিল্পী হিসেবে নয়, সমাজের নারীদের সম্মান রক্ষায় একজন সচেতন নাগরিক হিসেবেও শবনম ফারিয়া আজ প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন—নারীকে হেয় করা কি এখন প্রযুক্তির নামে ছলচাতুরি হবে?
সবার দেশ/কেএম