ডয়চে ভেলেকে ব্যাখ্যার দাবি
‘মব সহিংসতা’ তকমায় ক্ষুব্ধ জুলাই রেভ্যুলেশনারি এলায়েন্স

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে ‘মব-সহিংসতা’ হিসেবে উল্লেখ করায় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ডয়চে ভেলে (DW) বাংলা-র প্রতি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে জুলাই রেভ্যুলেশনারি এলায়েন্স।
সংগঠনটি এক বিবৃতিতে DW বাংলা-র ওই প্রতিবেদনকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, বিভ্রান্তিকর এবং সাংবাদিকতার ন্যূনতম নৈতিকতা পরিপন্থি বলেছে।
সংগঠনের ভাষ্য, আমাদের যৌক্তিক, সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে ‘মব সহিংসতা’ বলা একেবারেই অপপ্রচারমূলক। এটি গণতান্ত্রিক অধিকার হরণের অপচেষ্টা, যা আন্তর্জাতিক সাংবাদিকতার মুল্যবোধ লঙ্ঘন করে।
সাংবাদিকদের ভূমিকা নিয়েও অভিযোগ
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সারওয়ার ফারুকীর এক সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেয়া তিনজন সাংবাদিক জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও ‘গণহত্যা’র বিরোধিতা করেন এবং ‘খুনি হাসিনা’ বক্তব্য নিয়ে আপত্তি জানান। এ বিষয়ে সংগঠনটির দাবি, এরা মূল হত্যাকারীদের রক্ষার চেষ্টা করেছেন, যা এক ধরনের সাংবাদিকতার অপব্যবহার।
প্রতিবাদস্বরূপ ওই সাংবাদিকদের বরখাস্তের দাবি জানায় জুলাই রেভ্যুলেশনারি এলায়েন্স। দাবি না মানায় তারা ‘মার্চ টু চ্যানেল আই, দীপ্ত টিভি ও এটিএন বাংলা’ কর্মসূচি পালন করে। সংগঠনের দাবি অনুযায়ী, এসব পদযাত্রা ছিলো শান্তিপূর্ণ, সাংবিধানিক অধিকারভিত্তিক এবং নাগরিক প্রতিবাদ।
পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট মিডিয়া কর্তৃপক্ষ ঐ তিন সাংবাদিককে অপসারণ করে বলে দাবি করে সংগঠনটি। তবে এ বিষয়ে স্বতন্ত্র কোনো তথ্য গণমাধ্যম সূত্রে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
DW-এর প্রতিবেদনকে ‘প্রোপাগান্ডা’ আখ্যা
বিবৃতিতে জুলাই রেভ্যুলেশনারি এলায়েন্স DW বাংলা-র প্রতিবেদনে স্পষ্ট পক্ষপাতদুষ্টতার অভিযোগ তুলে বলেছে, এটি একটি গণতান্ত্রিক, সাংবিধানিক এবং রাজনৈতিক আন্দোলনের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রোপাগান্ডা। এমন অসততা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের জন্য কলঙ্কজনক।
তারা আরও বলেছে, DW-এর মতো আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের কাছ থেকে নিরপেক্ষতা, দায়িত্বশীলতা এবং সাংবাদিকতার নীতিমালা অনুসরণের প্রত্যাশা করা হয়। কিন্তু এ ধরনের প্রচার তাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে।
সংগঠনের দাবি
জুলাই রেভ্যুলেশনারি এলায়েন্স ডয়চে ভেলে বাংলা-র প্রতি তিনটি প্রধান দাবি জানিয়েছে:
- সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদনের সংশোধন
- আনুষ্ঠানিক দুঃখপ্রকাশ
- ঘটনাটির পুঙ্খানুপুঙ্খ ব্যাখ্যা
তারা স্পষ্ট ভাষায় জানায়, ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনের প্রতিবাদে আমরা আন্দোলন জোরদার করবো এবং আন্তর্জাতিক মহলে বিষয়টি তুলে ধরবো, যদি ন্যূনতম ব্যাখ্যাও না দেয়া হয়।
সবার দেশ/কেএম