Header Advertisement

Sobar Desh | সবার দেশ সবার দেশ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৬:০৫, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

একক মহানগর সরকার গঠনের সুপারিশ

ঢাকার দুই সিটিকে ফের এক করার প্রস্তাব

ঢাকার দুই সিটিকে ফের এক করার প্রস্তাব
ফাইল ছবি

স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে একত্রিত করে একক মহানগর সিটি করপোরেশন গঠনের সুপারিশ করেছে।

কমিশনের মতে, বর্তমান বিভক্ত কাঠামোয় নাগরিকদের কাঙ্ক্ষিত মানের সেবা প্রদান সম্ভব হচ্ছে না। এ প্রস্তাবের চূড়ান্ত প্রতিবেদন গত ২০ এপ্রিল প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

প্রস্তাবের মূল বিষয়সমূহ:

  • ২০টি সিটি কাউন্সিল: ঢাকা মহানগরীকে ২০টি অঞ্চলভিত্তিক সিটি কাউন্সিলে ভাগ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে, যেমন মিরপুর, গুলশান, উত্তরা, ধানমন্ডি ইত্যাদি। প্রতিটি কাউন্সিলে ৯ থেকে ১৫টি ওয়ার্ড থাকবে।
  • নির্বাচন প্রক্রিয়া: ওয়ার্ড কাউন্সিলররা সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হবেন, যার এক-তৃতীয়াংশ আসন নারীদের জন্য সংরক্ষিত। সিটি কাউন্সিল ও মহানগর মেয়র কাউন্সিলরদের ভোটে নির্বাচিত হবেন। বাইরের যোগ্য ব্যক্তিরাও মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন।
  • কাউন্সিলের দায়িত্ব: সিটি কাউন্সিলগুলো জননিরাপত্তা, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা, মশক নিধন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, স্থানীয় রাস্তা রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবসায়িক লাইসেন্স প্রদানের মতো সেবা দেবে। স্থানীয় কর সংগ্রহের দায়িত্বও তাদের। সিটি করপোরেশন সমন্বয়কারী ভূমিকা পালন করবে।
  • স্বতন্ত্র প্রশাসন: প্রতিটি সিটি কাউন্সিলের নিজস্ব প্রশাসন ও বাজেট থাকবে, যা স্থানীয় সেবার মান বাড়াবে।

প্রস্তাবিত অঞ্চলসমূহ: 

কমিশনের প্রতিবেদনে ২০টি সম্ভাব্য সিটি কাউন্সিলের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে বনানী-বারিধারা-গুলশান, মিরপুর, উত্তরা, ধানমন্ডি, মতিঝিল, কেরানীগঞ্জ, যাত্রাবাড়ী, ডেমরা, তেজগাঁও ইত্যাদি।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালে ঢাকা সিটি করপোরেশন বিভক্ত হয়ে ২০১২ সালে উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন গঠিত হয়। এর আগে ১৮৬৪ সালে ঢাকা পৌরসভা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৯০ সালে সিটি করপোরেশনের মর্যাদা লাভ করে।

বিশেষজ্ঞ মতামত: 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দা লাসনা কবীর বলেন, দুই সিটি করপোরেশনের কাঠামো সেবার মান নিশ্চিত করতে সহায়ক হলেও মেয়র নির্বাচনে সরাসরি ভোটাধিকার বজায় রাখা গণতান্ত্রিক চর্চার জন্য অপরিহার্য।

প্রতিক্রিয়া ও সম্ভাবনা:

কমিশনের প্রধান অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদের নেতৃত্বাধীন আট সদস্যের এ কমিশনের প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে ঢাকার প্রশাসনিক ও নাগরিক সেবার কাঠামোয় আমূল পরিবর্তন আসতে পারে। তবে, এ পরিবর্তনের জন্য আইনি ও রাজনৈতিক ঐকমত্য প্রয়োজন।

এ প্রস্তাব নিয়ে জনমত গঠন ও বাস্তবায়নের দিকে এখন সবার দৃষ্টি।

সবার দেশ/কেএম