Header Advertisement

Sobar Desh | সবার দেশ আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ০০:২৮, ১ মে ২০২৫

নমনীয় অবস্থানে মোদি সরকার

সব পাকিস্তানিদের ভারত ছাড়তে হবে না  

সব পাকিস্তানিদের ভারত ছাড়তে হবে না  
ছবি: সংগৃহীত

পেহেলগাম হামলার পর পাকিস্তানি নাগরিকদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিলেও সম্প্রতি কিছুটা নমনীয়তা দেখাচ্ছে মোদি সরকার। ভারতে দীর্ঘমেয়াদি ভিসা (এলটিভি) নিয়ে অবস্থানরত পাকিস্তানি নাগরিকদের দেশ ছাড়ার নির্দেশ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। 

ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নতুন গাইডলাইনে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, ভিসার মেয়াদ ফুরিয়ে গেলেও তা রিনিউ করা যাবে এবং উপযুক্ত নথি থাকলে নতুন করে এলটিভির আবেদন করাও যাবে।

সম্প্রতি জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে জঙ্গি হামলার ঘটনায় একাধিক পাকিস্তানি নাগরিককে সন্দেহের তালিকায় রাখা হয়। এর পরপরই বিভিন্ন প্রদেশের ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিস (FRRO) থেকে পাকিস্তানিদের ভারত ত্যাগের মৌখিক নির্দেশ আসে। এতে বিপাকে পড়েন বহু পরিবার—বিশেষ করে যারা বিবাহসূত্রে ভারতে এসেছেন, অথবা পরিজনের সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন।

ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ‘FRRO যোধপুর’-এর একটি নোটের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় গাইডলাইন প্রকাশ করে। তাতে বলা হয়—

  • যেসব পাকিস্তানি নাগরিক ‘এলটিভি’-তে বর্তমানে ভারতে রয়েছেন, তাদের দেশ ছাড়তে হবে না।  
  • এলটিভির মেয়াদ উত্তীর্ণ হলেও তা নবায়নযোগ্য। 
  • যাদের আবেদন প্রক্রিয়াধীন, তারাও ভারতে থাকতে পারবেন।  
  • উপযুক্ত নথিপত্র থাকলে নতুন আবেদনকারীদের জন্যও এলটিভির দরজা খোলা থাকবে।  
  • এমনকি যাদের পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়েছে কিন্তু এখনো ভারতীয় নাগরিকত্ব পাননি, তারাও যথাযথ নথি দিয়ে ‘FRRO’-তে আবেদন করতে পারবেন।

তবে এ সুবিধা কেবল দীর্ঘমেয়াদি ভিসাধারীদের জন্য। যারা স্বল্পমেয়াদি ভিসা, চিকিৎসা ভিসা, বা স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে ভারতে এসেছেন, তাদের দেশ ছাড়তে হবে—এমনই জানানো হয়েছে নির্দেশিকায়।

‘FRRO’ যোধপুর জানিয়েছে, শুধু গত তিন দিনেই ৩৬২টি এলটিভি আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে। বহু পাকিস্তানি পরিবারই বছর দশেক ধরে ভারতে বসবাস করছেন, অনেকেই এখনও নাগরিকত্ব পাননি। তাদের জন্য এ নতুন সিদ্ধান্ত আশার আলো হয়ে এসেছে।

বিশ্লেষকদের মতে, লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে কেন্দ্র সরকারের এ পদক্ষেপ একদিকে মানবিক বার্তা, অপরদিকে রাজনৈতিক কৌশল হিসেবেও দেখছেন অনেকে। কারণ বিজেপির নির্বাচনী প্রচারে বরাবরই পাকিস্তান প্রসঙ্গ এবং নিরাপত্তা ইস্যু বড় হয়ে উঠে। অথচ এবার তার মধ্যেও একপেশে পদক্ষেপ থেকে সরে এসে কিছুটা ভারসাম্য রক্ষা করলো কেন্দ্র।

সবার দেশ/কেএম