ট্যাংক-কামান নিয়ে সামরিক মহড়া পাকিস্তানের
সীমান্তে ভারতকে ভয় দেখিয়ে দিলো পাকিস্তান

কাশ্মীরের পহেলগামে ভয়াবহ হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় তীব্র ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার মধ্যেই এবার সরাসরি সীমান্তে শক্তি প্রদর্শন করলো পাকিস্তান সেনাবাহিনী। বৃহস্পতিবার (১ মে) লাইন অব কন্ট্রোল (এলওসি)-এর কাছেই পূর্ণমাত্রার সামরিক মহড়া চালিয়েছে পাকিস্তান।
জিও নিউজ জানিয়েছে, মহড়ায় ব্যবহৃত হয়েছে ট্যাংক, কামান, ভারী অস্ত্র ও তাজা গোলাবারুদ। সামরিক মহড়ায় অংশ নেয় সেনাবাহিনীর একাধিক ইউনিট, কর্মকর্তা ও সৈনিকরা।
যেকোনো আগ্রাসনের জবাব দিতেই এই মহড়া: পাকিস্তান সেনাবাহিনী
পাকিস্তানি সামরিক সূত্রের দাবি, এ মহড়া ছিলো ‘প্রতিপক্ষের যেকোনো আগ্রাসনের কঠোর জবাব দিতে প্রস্তুতির অংশ।’ তবে ‘প্রতিপক্ষ’ বলতে সরাসরি ভারতের নাম না বললেও আঙুল যে ভারতের দিকেই তা স্পষ্ট।
গুলি বিনিময়ের অভিযোগ দুই পক্ষের
পাকিস্তানের আরেক শীর্ষ সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে, একদিন আগেই ভারতীয় সেনাবাহিনী কিয়ানি ও মন্ডল সেক্টরে বিনা উস্কানিতে ছোট অস্ত্র দিয়ে গুলি চালায়। জবাবে পাকিস্তান সেনারা ভারতীয় কয়েকটি চেকপোস্ট ধ্বংস করে দেয় বলে দাবি করেছে ইসলামাবাদ।
এ গোলাগুলির ঘটনাকে কেন্দ্র করেই সীমান্তে হঠাৎ এ মাঠ পর্যায়ের বড় সামরিক মহড়ার আয়োজন বলে উল্লেখ করেছে ট্রিবিউন।
উত্তেজনার সূত্র: কাশ্মীর হামলা ও পাল্টা ব্যবস্থা
ভারতের অভিযোগ, ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাম হামলার পেছনে পাকিস্তানি মদতপুষ্ট গোষ্ঠীর হাত রয়েছে। এতে ২৬ জন নিহত হন, যাদের অধিকাংশই ছিলেন আধাসামরিক বাহিনীর সদস্য। এরপরই দিল্লি ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে তীব্র কূটনৈতিক ও সামরিক ভাষায় প্রতিক্রিয়া জানায়।
ভারতের তরফে সিন্ধু নদ চুক্তি বাতিল, সীমান্ত বন্ধ এবং সিমলা চুক্তি স্থগিতের মতো পদক্ষেপ নেয়া হয়। জবাবে পাকিস্তানও পাল্টা ঘোষণা দিয়ে সিমলা চুক্তি স্থগিত ও সীমান্ত বন্ধের কথা জানায়।
উদ্বেগে আন্তর্জাতিক মহল
দক্ষিণ এশিয়ার দুই পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশীর মধ্যে এমন সামরিক উত্তেজনা ও চুক্তি বাতিলের প্রবণতা আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহলে উদ্বেগ তৈরি করেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সীমান্তে একপক্ষের মহড়া বা গোলাগুলি খুব সহজেই পূর্ণাঙ্গ সংঘর্ষে পরিণত হতে পারে, যদি কূটনৈতিক সংযম না দেখানো হয়।
সবার দেশ/কেএম