২০ জনের ফাঁসি, ৫ জনের যাবজ্জীবন বহাল
আবরার ফাহাদ হত্যায় হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডে ২০ জনের ফাঁসি এবং ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় বহাল রেখেছে হাইকোর্ট। আজ শনিবার এ মামলার ১৩১ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হয়।
এর আগে, চলতি বছরের ১৬ মার্চ বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
কী ঘটেছিলো?
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলে আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করে বুয়েট ছাত্রলীগের একদল নেতা-কর্মী।
আবরার ফেসবুকে ভারত-বাংলাদেশ চুক্তির সমালোচনা করেছিলো — এটাকেই কারণ ধরে তাকে ডেকে নিয়ে পেটানো হয়। ঘটনার পরদিন আবরারের বাবা চকবাজার থানায় হত্যা মামলা করেন।
আদালতের রায় কী বলছে?
- ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড
- ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
হাইকোর্ট বলেছে, আবরারকে পিটিয়ে মেরে ফেলার ঘটনা ছিল ভয়াবহ ও নৃশংস।
নিহত আবরারের পরিবার কী বলছে?
আবরারের ভাই আবরার ফাইয়াজ বলেন, আমরা রায়ে সন্তুষ্ট। আশা করি দ্রুত কার্যকর হবে। আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বলেন, ফাঁসির রায় বহাল রয়েছে। এখন সরকারের কাছে দাবি, দ্রুত এ রায় কার্যকর করা হোক। তবে তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, একজন আসামি জেল থেকে পালিয়েছে — এটা আমরা ৬ মাস পর জানলাম। এটা জেল কর্তৃপক্ষকে জিজ্ঞেস করতে হবে
সাজাপ্রাপ্তরা কারা?
ফাঁসির দণ্ড পাওয়া ২০ জনের মধ্যে আছেন: মেহেদী হাসান রাসেল, মিজান, তানভীর, তোহা, মুজাহিদ, সাদাত, রাফাত, মোর্শেদ, অমর্ত্যসহ আরও অনেকে। তারা সবাই নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি ছাত্রলূগের কর্মী।
যাবজ্জীবন পাওয়া ৫ জন হলেন: অমিত সাহা, আকাশ হোসেন, ইসতিয়াক মুন্না, ফুয়াদ ও মোয়াজ।
এখন কী হবে?
এ রায় কার্যকরে সরকারের অনুমোদন লাগবে। তারপর কারা কর্তৃপক্ষ কার্যকর করবে। আসামিরা চাইলে আপিল বিভাগে যেতে পারেন।
সবার দেশ/কেএম