Header Advertisement

Sobar Desh | সবার দেশ আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ২০:০৬, ৩ মে ২০২৫

আপডেট: ২০:০৭, ৩ মে ২০২৫

তরুণদের ভোটেই বড় জয়, হেরে গেলেন ডাটন

ফের অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী আলবানিজ

ফের অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী আলবানিজ
ফাইল ছবি

অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় নির্বাচনে ফের জয়ী হয়েছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ। প্রাথমিক ভোটগণনা এবং স্থানীয় মিডিয়া নেটওয়ার্কগুলোর তথ্য অনুযায়ী, লেবার পার্টির এ নেতা টানা দ্বিতীয়বারের মতো সরকার গঠনে এগিয়ে রয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী পিটার ডাটনের নেতৃত্বাধীন লিবারেল-ন্যাশনাল জোট বড় ধাক্কা খেয়েছে, এমনকি নিজের আসন ব্রিসবেনের ডিকসনেও হেরেছেন ডাটন।

সারাদেশজুড়ে দেখা গেছে ‘সুইং ভোট’-এর প্রভাব, যেখান থেকে সরাসরি লাভবান হয়েছে আলবানিজের নেতৃত্বাধীন লেবার পার্টি। এবিসি জানিয়েছে, নির্বাচনের ফলাফল স্পষ্ট না হলেও জোট সরকারের গঠন ব্যর্থ হচ্ছে এবং আলবানিজের পুনর্নির্বাচন নিশ্চিত হয়েছে।

নির্বাচনের ভাগ্য নির্ধারণ করেছে তরুণ ভোটাররা

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এবারের নির্বাচনে তরুণদের ভূমিকা ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তারা ভোট দিয়েছেন মূল্যস্ফীতি, স্বাস্থ্যসেবা সংকট এবং গৃহায়ন সমস্যার মতো জীবনঘনিষ্ঠ ইস্যুগুলোর ভিত্তিতে।

গ্রিন্স ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের উত্থান

এবারের নির্বাচনে পার্লামেন্টে যদি কেউ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পায়, তাহলে কিংমেকার হয়ে উঠতে পারেন গ্রিন্স পার্টি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। তাদের শক্তিশালী উপস্থিতি অস্ট্রেলিয়ার রাজনৈতিক সমীকরণকে আরও জটিল করতে পারে।

আদিবাসীদের নিয়ে ঐতিহাসিক ভাষণ

জয়ের খবর পেয়ে প্রথম ‘ফার্স্ট নেশন্স’ ভাষণ দিয়েছেন আলবানিজ। তিনি বলেন, আমরা এমন একটি সরকার গড়ব যা ফার্স্ট নেশন্স জনগণের পুনরেকত্রীকরণকে সমর্থন করে। আমরা চাচ্ছি একটি একতাবদ্ধ, শক্তিশালী জাতি গড়তে, যেখানে আদিবাসী ও অনাদিবাসী অস্ট্রেলিয়ানদের মধ্যে বিভাজন থাকবে না।

তিনি ঘোষণা দেন, পরদিন থেকেই তার সরকার পূর্ণ উদ্যমে কাজে নেমে পড়বে এবং ‘নতুন আশা, আস্থা ও গন্তব্য’ নিয়ে পথচলা শুরু করবে।

ট্রাম্পের ছায়া এবং আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া

উল্লেখযোগ্যভাবে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অস্ট্রেলিয়ান রাজনীতিতে হস্তক্ষেপমূলক মন্তব্যগুলো নির্বাচনের পরিবেশকে উত্তপ্ত করেছিলো। তবে ফলাফল বলছে, সেসব বাইরের প্রভাব তরুণ ও মধ্যবিত্ত ভোটারদের সিদ্ধান্তকে বদলাতে পারেনি।

যদিও আনুষ্ঠানিক ফল আসতে কয়েকদিন বা সপ্তাহ লাগতে পারে, তবে প্রাথমিক চিত্র বলছে—অস্ট্রেলিয়া আবারও আস্থা রেখেছে আলবানিজ ও তার উদারপন্থী নীতির ওপর। বিরোধী জোটের ভরাডুবি এবং তরুণদের সক্রিয় ভোটার হিসেবে আত্মপ্রকাশ এ নির্বাচনের বড় বার্তা।

সবার দেশ/কেএম