Header Advertisement

Sobar Desh | সবার দেশ আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫:১১, ৪ মে ২০২৫

আপডেট: ১৫:১৩, ৪ মে ২০২৫

কাশ্মীরের রামবানে ভয়াবহ দুর্ঘটনা

ভারতীয় সামরিক যান খাদে, ৩ সেনা নিহত

ভারতীয় সামরিক যান খাদে, ৩ সেনা নিহত
ছবি: সংগৃহীত

কাশ্মীরের দুর্গম পাহাড়ি রাস্তায় ফের ঘটল প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা। ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি গাড়ি ৭০০ ফুট গভীর খাদে পড়ে অন্তত তিন সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন। নিহতদের নাম—অমিত কুমার, সুজিত কুমার ও মান বাহাদুর।

দুর্ঘটনাটি ঘটেছে রোববার (৪ মে) সকালে, জম্মু থেকে শ্রীনগরগামী একটি সেনা যান ব্যাটারি চাশমা এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাহাড় থেকে ছিটকে পড়ে যায় খাদে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি ও পিটিআই সূত্রে জানা গেছে, দুর্ঘটনার সময় গাড়িটিতে মোট কতজন সেনা ছিলেন তা এখনও নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি, তবে উদ্ধার কাজ এখনও চলছে।

ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, খাদে ছড়িয়ে আছে সেনা গাড়ির ধ্বংসাবশেষ, পোড়া রঙের ইউনিফর্ম, রক্তমাখা সামরিক ব্যাগ ও ছেঁড়া সরকারি নথিপত্র। দুর্ঘটনার ভয়াবহতা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে সে দৃশ্যে।

উদ্ধার অভিযানে সেনা-পুলিশ-ভলান্টিয়ার

দুর্ঘটনার পরপরই ভারতীয় সেনাবাহিনীর নিজস্ব উদ্ধার ইউনিট, কাশ্মীর পুলিশ, স্টেট ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স (এসডিআরএফ) এবং স্থানীয় বাসিন্দারা যৌথভাবে উদ্ধারকাজে নামে। দুর্গম এবং বিপজ্জনক খাদের গভীরে পৌঁছাতে দড়ি, পুলি এবং রেসকিউ রোবোটের সহায়তা নিতে হয়েছে। সারা দুপুর ধরেই তল্লাশি চলেছে।

সেনা নিহত, শোকের ছায়া বাহিনীতে

তিন সেনা সদস্যের মৃত্যুর খবরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে। তাদের পরিবারেও পৌঁছে গেছে মৃত্যুসংবাদ।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এখনও এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি, তবে সেনা সূত্রে জানা গেছে, নিহতদের দেহ জম্মুতে পাঠানো হচ্ছে ময়নাতদন্ত ও শেষকৃত্যের প্রস্তুতির জন্য।

কাশ্মীরের রাস্তা কি নিরাপদ?

প্রতিবারই দুর্ঘটনার পর প্রশ্ন ওঠে, কাশ্মীরের পাহাড়ি অঞ্চলের রাস্তা ও সেনাবাহিনীর যাতায়াত ব্যবস্থা কতটা নিরাপদ? রামবানের ব্যাটারি চাশমা এলাকা আগে থেকেই দুর্ঘটনাপ্রবণ হিসেবে পরিচিত। তবু প্রয়োজনীয় প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলেই মনে করছেন স্থানীয়রা।

এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, এখানকার রাস্তা বর্ষা বা তুষারপাতের সময় ভয়াবহ হয়ে ওঠে। গাড়িগুলোর গতি ও রুটিন তদারকির ঘাটতি আছে।

কাশ্মীরের পাহাড়ি পথ যেন বারবারই পরিণত হচ্ছে সেনাবাহিনীর জন্য মরণফাঁদে। রাষ্ট্র যখন সীমান্তে নজর রাখছে, তখন অভ্যন্তরীণ লজিস্টিক ও রুট নিরাপত্তার দিকে নজর দেয়া কি আরও জরুরি নয়?

সবার দেশ/কেএম