স্বস্তি এলাকাবাসীর
আফতাবনগর গরুরহাটে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ

আসন্ন ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে রাজধানীর আফতাবনগরে কোরবানির পশুর হাট বসানোর উদ্যোগ স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। আদালতের এ আদেশের ফলে এবছর আফতাবনগরে আর গরুর হাট বসছে না, যা এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির প্রতিফলন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
গত ২১ এপ্রিল ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাজধানীতে ১১টি হাট বসানোর জন্য একটি ইজারা বিজ্ঞপ্তি জারি করেন। ওই তালিকায় আফতাবনগরের নামও অন্তর্ভুক্ত ছিলো। কিন্তু এ সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ২৪ এপ্রিল হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ।
রিটে উল্লেখ করা হয়, আফতাবনগর একটি রাজউক অনুমোদিত পরিকল্পিত আবাসিক এলাকা, যেখানে বহু বিচারপতি, পেশাজীবী ও সাধারণ মানুষ বসবাস করেন। প্রায় সাত হাজার প্লট নিয়ে গঠিত এ এলাকায় পশুর হাট বসানো হলে মারাত্মক জনদুর্ভোগের আশঙ্কা তৈরি হবে।
আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, আফতাবনগর মূলত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অন্তর্ভুক্ত। এটি বাড্ডা থানার ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের অংশ। সিটি করপোরেশন আইন অনুযায়ী দক্ষিণ সিটির এ এলাকায় হাট বসানোর কোনো এখতিয়ার নেই।
তিনি আরও বলেন, ২০২৩ সালেও একই ধরনের হাট বসানোর চেষ্টা হয়েছিলো, তখনও হাইকোর্ট তা স্থগিত করেছিলো। পরে আপিল বিভাগের অনুমতিতে কেবল এল ব্লকের একটি অংশে হাট বসানো হয়েছিলো। এবার সম্পূর্ণ এলাকা থেকেই হাট সরিয়ে নেয়ার আদেশ এসেছে।
আদালতের রায়ের ফলে এবছর পুরো আফতাবনগর এলাকায় হাট বসানো বন্ধ থাকবে। স্থানীয়রা এ রায়কে স্বাগত জানিয়ে বলেন, প্রতিবছর হাট বসানোর ফলে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হতো। যানজট, শব্দ ও বর্জ্য দূষণ, নিরাপত্তা শঙ্কা—সব মিলিয়ে ঈদের আনন্দ ম্লান হয়ে যেত।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, আমাদের এলাকার পরিবেশটা একেবারে নষ্ট হয়ে যেতো। এবার অন্তত ঈদের আগে একটু স্বস্তিতে থাকতে পারবো।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এ আদেশ কেবল একটি এলাকার জন্য নয়, বরং রাজধানীর পরিকল্পিত আবাসিক এলাকাগুলোর স্থিতি রক্ষায় এক দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ।
সবার দেশ/কেএম