ডাকসু ভোট: সিনেট ভবন ভিড়, ফলাফলের অপেক্ষায় উত্তেজনা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা হতে যাচ্ছে, এজন্য নওয়াব আলী চৌধুরি সিনেট ভবন ইতিমধ্যেই শিক্ষার্থী, প্রার্থী ও গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতিতে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে। বাইরেও ফলাফলের অপেক্ষায় অনেকে অবস্থান করছেন। শিক্ষার্থীরা মাঝে মাঝে স্লোগান দিতে দেখা যাচ্ছে।

প্রতিবেদকের সংবাদ অনুযায়ী, ভোট গণনা এখনও শেষ হয়নি। রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. জসীম উদ্দিন জানিয়েছেন, রাতের মধ্যেই ফলাফল ঘোষণা করা হবে, তবে সঠিক সময় জানানো সম্ভব নয়।

ভোটগ্রহণ বিকেল ৪টায় শেষ হওয়ার পর ক্যাম্পাসে একের পর এক অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ উঠে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

ভোট গণনার শুরুতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব কেন্দ্রে ঢুকে পড়েন ছাত্রশিবির মনোনীত ভিপি প্রার্থী সাদিক কায়েম। পরে প্রশাসনের চাপ এবং পোলিং এজেন্টদের অনুরোধে তিনি বের হন। এ ঘটনায় কিছুটা উত্তেজনা তৈরি হয়। এরপর ছাত্রদল মনোনীত ভিপি প্রার্থী আবিদুল টিএসসি কেন্দ্রে ঢোকার চেষ্টা করলে তাকে বাধা দেয়া হয়, ফলস্বরূপ ভোট গণনা কিছু সময়ের জন্য স্থগিত থাকে।

এছাড়া কার্জন হল ও উদয়ন স্কুলে এলইডি লাইট বন্ধ থাকার কারণে ভোট গণনা সাময়িকভাবে বিঘ্নিত হয়, পরে ঠিক হয়ে যায়। ভোট কারচুপি এবং বিশেষ পক্ষকে সুবিধা দেয়ার অভিযোগ তুলেছে ছাত্রদল। সিনেট ভবনে উপাচার্জ অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদের সঙ্গে নেতাদের উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়।

ভোট গণনা চলাকালীন রাত ৮টার সময় শামসুন্নাহার হল এবং ইউল্যাব কেন্দ্রের সামনে ছাত্রদল মনোনীত প্রার্থীরা স্লোগান দেন এবং মিছিল করেন। সেখানে তারা প্রশাসনকে ‘ভোট চোর’ বলে অভিযোগ করেন। একই সময়ে টিএসসিতে বাম সমর্থিত ও অন্যান্য প্রার্থীরা ভোট কারচুপি ও প্রশাসনের ব্যর্থতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

ফলাফল ঘোষণার আগেই ক্যাম্পাসে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বিকেল থেকে জামায়াত-শিবির, বিএনপি ও অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা সিনেট ভবনের আশেপাশে জড়ো হতে থাকেন। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে অতিরিক্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার মাসুদ আলম জানান, ফলাফলের সময় যেকোনও ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত। সন্ধ্যার পর থেকে তাদের উপস্থিতি বাড়ানো হয়েছে এবং সন্দেহভাজন যানবাহনে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

সবার দেশে/কেএম