Header Advertisement

Sobar Desh | সবার দেশ সবার দেশ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৬:১৮, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

জুলাই হত্যাকাণ্ডে শাজাহান খান অনুতপ্ত

জিয়া-খালেদা-জামায়াতের বিচার চাইলেন শাজাহান খান

জিয়া-খালেদা-জামায়াতের বিচার চাইলেন শাজাহান খান
ছবি: সংগৃহীত

শেখ হাসিনার বিচারের আগে ১৯৭১ সালে জামায়াতের হত্যাকাণ্ড, জিয়াউর রহমানের বঙ্গবন্ধু হত্যা ও তিন হাজার সেনা-রাজনৈতিক ব্যক্তি হত্যা, এরশাদ ও খালেদা জিয়ার সময়ের হত্যার বিচার চাইলেন পতিত আওয়ামী লীগের সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) এজলাস থেকে হাজতখানায় নিয়ে যাওয়ার পথে শাজাহান খান এসব কথা বলেন।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় যাত্রাবাড়ীতে হত্যা মামলায় সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুর রহমানের আদালত। একই মামলায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে।

বুধবার সকালে শাজাহান খানসহ আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সুষ্ঠু তদন্ত ও অস্ত্র উদ্ধারের জন্য তিনজনের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। 

শাজাহান খান আদালতে বলেন, তার হৃদযন্ত্রে পাঁচটি ব্লক রয়েছে এবং আন্দোলনের সময় তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। পূর্ববর্তী রিমান্ডের সময় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিলো। তিনি জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুরোধ করেন এবং গায়েবি মামলার পরিবর্তে সুনির্দিষ্ট অভিযোগে মামলা দায়েরের দাবি জানান। 

এ সময় আদালতে উপস্থিত আইনজীবীদের কটাক্ষ ও তানভীর হাসান সৈকতের বক্তব্যের জেরে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। সৈকত দাবি করেন, আন্দোলনের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো হত্যাকাণ্ড হয়নি। শাজাহান খান বিচারকের উদ্দেশে বলেন, আইনজীবীদের হুমকির বিচার করতে। মহানগর পিপি আসামিদের কথা বলার অনুমতি সীমিত করার আহ্বান জানান।

আদালত থেকে হাজতখানায় নেওয়ার পথে শাজাহান খান বলেন, শেখ হাসিনার বিচারের আগে ১৯৭১ সালে জামায়াতের হত্যাকাণ্ড, জিয়াউর রহমানের বঙ্গবন্ধু হত্যা ও তিন হাজার সেনা-রাজনৈতিক ব্যক্তি হত্যা, এরশাদ ও খালেদা জিয়ার সময়ের হত্যার বিচার হওয়া উচিত। জুলাই হত্যাকাণ্ডে অনুতপ্ত কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই অনুতপ্ত।’

গত ১৯ জুলাই যাত্রাবাড়ীতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে মো. আরিফ আহত হন এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। এ ঘটনায় ২৩৩ জনকে আসামি করে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের হয়। 

সবার দেশ/কেএম