কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলায় বাংলাদেশের নিন্দা

জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামে পর্যটকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ। বুধবার (২৩ এপ্রিল) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সন্ত্রাস ও সহিংসতার বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে অটল এবং বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ।
সরকার নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছে এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ। হামলার দায়ীদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানানো হয়েছে।
হামলার বিবরণ
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) অনন্তনাগ জেলার বাইসারান মেডোতে সন্ত্রাসীরা পর্যটকদের লক্ষ্য করে অতর্কিত গুলি চালায়। এতে কমপক্ষে ২৬ জন নিহত হন, যাদের মধ্যে নারী, শিশু এবং দুই বিদেশি (নেপাল ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের নাগরিক) রয়েছেন। আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, দোষীদের কোনো ছাড় দেয়া হবে না। জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ এটিকে বেসামরিকদের ওপর সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে বড় হামলা হিসেবে অভিহিত করেছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, নেপাল, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও নেতা এ হামলার নিন্দা জানিয়েছেন।
প্রেক্ষাপট
কাশ্মীর দীর্ঘদিন ধরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু। ২০১৯ সালে ভারত কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করার পর এখানে সামরিক উপস্থিতি বৃদ্ধি পায়। গত বছর ৩৫ লাখ পর্যটকের আগমনে কাশ্মীরের পর্যটন শিল্প গতি পেলেও এ হামলা তা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
বাংলাদেশের অঙ্গীকার
বাংলাদেশ সরকার শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছে। এ হামলার নিন্দা জানিয়ে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।
সবার দেশ/কেএম