মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় জিজ্ঞাসাবাদ, অভিযোগ না এলে পুলিশই বাদী
লঞ্চে দুই তরুণীকে পেটানো সে তরুণ আটক

লঞ্চে দুই তরুণীকে বেল্ট দিয়ে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত তরুণ নেহাল আহমেদ ওরফে জিহাদকে আটক করেছে মুন্সিগঞ্জ সদর থানা পুলিশ। শনিবার (১০ মে) দুপুরে তাকে থানায় আনা হয়।
নেহাল মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার দক্ষিণ ইসলামপুর এলাকার বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে গতকাল শুক্রবার রাতে ‘এমভি ক্যাপ্টেন’ নামের একটি লঞ্চে দুই তরুণীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠে, যার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে।
ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, দুই তরুণী লঞ্চের একেবারে সামনের অংশে দাঁড়িয়ে। এক তরুণ—পরিচয় অনুযায়ী নেহাল—তাদের বেল্ট দিয়ে পেটাচ্ছেন। আশপাশে থাকা বেশ কয়েকজন এ দৃশ্য মোবাইলে ধারণ করছেন এবং নানা ধরনের উল্লাস ও স্লোগান দিচ্ছেন।
মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম বলেন, ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর আমরা অভিযুক্ত জিহাদকে থানায় আসতে বলি। সে নিজে থেকেই থানায় আসে। এখন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। ভুক্তভোগী এক তরুণীকে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলা হয়েছিলো, তবে তিনি আসবেন না বলে জানিয়েছেন।
ওসি বলেন, কেউ অভিযোগ না করলেও বিষয়টি স্পষ্টত একটি অপরাধ। ভুক্তভোগী অভিযোগ না করলেও আমরা বাদী হয়ে মামলা করবো।
ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়েছে। অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন, লঞ্চে এত মানুষের সামনে এ ধরনের সহিংসতা ঘটলেও কেউ বাধা দেয়নি—বরং কেউ কেউ উল্লাস করেছে, যা সমাজের গভীর অবক্ষয়কেই তুলে ধরে।
সবার দেশ/কেএম