ট্রাইব্যুনালে ইনুকে সাহস দিলেন
বুকে বল রাখেন, মনোবল হারায়েন না: দীপু মনি
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কাঠগড়ায় সাবেক তথ্যমন্ত্রী ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুকে সাহস যুগিয়ে ‘বুকে বল রাখার’ আহ্বান জানিয়েছেন সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের শীর্ষনেতা ডা. দীপু মনি।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) ট্রাইব্যুনাল-১ এ হাজিরার সময় দীপু মনি ইনুর দিকে তাকিয়ে বলেন, বুকে বল রাখেন, মনোবল হারায়েন না।
এদিন সকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের সাত মামলায় সাবেক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকসহ মোট ৪৫ জন সাবেক মন্ত্রী, উপদেষ্টা ও আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
আসামিদের তালিকায় রয়েছেন সাবেক মন্ত্রী ডা. দীপু মনি, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু, কামরুল ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রসচিব জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক এমপি শাজাহান খান, সাবেক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, সালমান এফ রহমান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার প্রমুখ।
তিন মাস পর একসঙ্গে এতজনকে হাজির করায় ট্রাইব্যুনালের কাঠগড়া যেন হঠাৎই এক রাজনৈতিক পুনর্মিলনী কেন্দ্রে পরিণত হয়। এক পর্যায়ে ইনু দীপু মনিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, এরপর থেকে আমার বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ অনুষ্ঠিত হবে, হয়তো আর দেখা হবে না। জবাবে দীপু মনি মুচকি হেসে বলেন, বুকে বল রাখেন, মনোবল হারায়েন না।
তাদের পাশে থাকা সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান তখন হাস্যরসের সুরে বলেন, এদের কত নাটক দেখবো, চারিদিকে শুধু নাটক।
শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল জানায়, সাবেক মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও উপদেষ্টাদের বিরুদ্ধে তদন্তের কাজ আগামী ৮ জানুয়ারির মধ্যে শেষ করতে হবে। এরপর আসামিদের আইনজীবীরা সংক্ষিপ্ত আলোচনার সুযোগ পান। কিছুক্ষণ পর দুপুরে সবাইকে আবার কারাগারে পাঠানো হয়।
সকালে ট্রাইব্যুনালের সামনে ছিলো কড়া নিরাপত্তা। ভবনের আশপাশে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও র্যাব সদস্য মোতায়েন করা হয়। আদালতে ঢোকার আগে প্রত্যেককে তল্লাশি করা হয়।
এর আগে গত ২০ এপ্রিল মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ১৯ জন সাবেক মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছিলো। পরে তদন্তে সময় বাড়ানোর আবেদন মঞ্জুর করে ট্রাইব্যুনাল ২০ জুলাই নতুন তারিখ নির্ধারণ করে। ফেব্রুয়ারিতেও একই মামলায় ১২ সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও দুই উপদেষ্টাকে হাজির করা হয়, যাদের শুনানি শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছিলো।
সবার দেশ/কেএম




























