নতুন গ্যাস কূপ খনন শুরু, দিনে মিলবে ১৫ মিলিয়ন ঘনফুট
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস গ্যাস ফিল্ডে নতুন একটি গ্যাসকূপের খনন কাজ শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেডের (বিজিএফসিএল) উদ্যোগে খননাধীন এ কূপ থেকে প্রতিদিন কমপক্ষে ১৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হওয়ার আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সোমবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুহিলপুর এলাকায় তিতাস গ্যাস ফিল্ডের ‘সি’ লোকেশনে ২৮ নম্বর কূপের খনন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন পেট্রোবাংলার পরিচালক (প্রকৌশল) মো. শোয়েব।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে পেট্রোবাংলার পরিচালক মো. শোয়েব বলেন, বিজিএফসিএলের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত গ্যাস ফিল্ডগুলোতে ইতোমধ্যে উৎপাদন উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। নতুন কূপ খনন ও বিদ্যমান কূপের ওয়ার্কওভার প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে দেশের জ্বালানি সংকট অনেকটাই কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে। তিনি আরও জানান, তিতাস গ্যাস ফিল্ডের ৩১ নম্বর কূপ এবং বাখরাবাদ গ্যাস ফিল্ডের ১১ নম্বর গভীর কূপ খননের প্রকল্পও হাতে নেয়া হয়েছে। দেশের ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদা পূরণে পেট্রোবাংলা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালে তিতাস গ্যাস ফিল্ডের ‘সি’ লোকেশনে গ্যাস অনুসন্ধানে প্রাথমিক জরিপ চালানো হয়। পরে ২০২০ সালে ওই জরিপ প্রতিবেদনের পুনর্মূল্যায়ন করে তিতাস গ্যাস ফিল্ডে নতুন তিনটি কূপ খননের পরিকল্পনা গ্রহণ করে বিজিএফসিএল। এ প্রকল্পের আওতায় গাজীপুরের কামতা গ্যাস ফিল্ডে একটি কূপ খননের উদ্যোগও রয়েছে।
তিতাস ও কামতা গ্যাস ফিল্ডে মোট চারটি কূপ খননে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় এক হাজার ২৫০ কোটি টাকা। সব কূপের খনন কাজ শেষ হলে প্রতিদিন জাতীয় গ্রিডে প্রায় ৫৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস যুক্ত হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
তিতাস গ্যাস ফিল্ডের ২৮ নম্বর কূপটির খনন কাজ বাস্তবায়ন করছে একটি চীনা প্রতিষ্ঠান। কূপটির খনন সম্পন্ন করতে প্রায় দুই মাস সময় লাগবে বলে জানা গেছে। খনন শেষে কূপটি থেকে প্রতিদিন আনুমানিক ১৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হবে।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. ফারুক হোসেন, কোম্পানি সচিব মোজাহার আলী, তিতাস ও মেঘনা গ্যাস ফিল্ডে চারটি কূপ খনন প্রকল্পের পরিচালক এ কে এম জসিম উদ্দিনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
সবার দেশ/কেএম




























