৭৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে ফ্রান্স
ফ্রান্সের ইতিহাসে ১৯৪৯ সালের পর সবচেয়ে বড় দাবানলে দক্ষিণাঞ্চলের ওদ অঞ্চল এখনো জ্বলছে। দাবানল কিছুটা ধীর হলেও এখন পর্যন্ত পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। পুড়ে যাওয়া এলাকা প্যারিস শহরের আয়তনের চেয়েও বড়।
দাবানল নিয়ন্ত্রণে বর্তমানে ২ হাজারের বেশি অগ্নিনির্বাপণ কর্মী, ৫০০ অগ্নিনির্বাপক যান, সেনাবাহিনী ও সেনা আরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছেন। মঙ্গলবার রিবোত গ্রামের কাছে আগুন লাগার পর থেকে এ পর্যন্ত একজন বৃদ্ধা নারী মারা গেছেন, আহত হয়েছেন অন্তত ১৩ জন, যাদের মধ্যে ১১ জনই দমকলকর্মী। নিখোঁজ রয়েছেন তিনজন।
স্থানীয় প্রশাসনের তথ্যমতে, বহু ঘরবাড়ি পুড়ে গেছে, ১৭টি অস্থায়ী আবাসন কেন্দ্র চালু করা হয়েছে এবং বাসিন্দাদের ঘরে না ফেরার অনুরোধ জানানো হয়েছে। করবিয়ের অঞ্চলের গ্রামগুলো এখনো ‘উচ্চ সতর্কতায়’ রয়েছে।
ফরাসি পরিবেশমন্ত্রী আনিয়েস পানিয়ে-রুনাশে এবং প্রধানমন্ত্রী ফ্রাঁসোয়া বায়রু দাবানলকে জলবায়ু পরিবর্তন ও দীর্ঘ খরার ফল বলে উল্লেখ করেছেন। দাবানলকবলিত এলাকা পরিদর্শন করে বায়রু একে ‘চরম মাত্রার বিপর্যয়’ বলে আখ্যায়িত করেন।
বুধবার থেকে বাতাসের গতি ও তাপমাত্রা কিছুটা কমে আসায় পরিস্থিতি সামান্য উন্নতি হয়েছে। পানি ছিটানো বিমান ও স্যাটেলাইটের মাধ্যমে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে। স্যাটেলাইট চিত্রে ধোঁয়ার ঘন পরত এবং বিপুল এলাকাজুড়ে পোড়া জমির চিত্র ধরা পড়েছে।
জঁকিয়ের গ্রামের মেয়র জাক পিরো জানিয়েছেন, তাঁর গ্রামটির প্রায় ৮০ শতাংশই আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ফরাসি দৈনিক Le Monde-কে তিনি বলেন, "চারপাশে শুধু ধ্বংসস্তূপ, পোড়া গাছ আর কালো ছাই। দৃশ্যটা হৃদয়বিদারক।"
ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছেন, “জাতির সব সম্পদই এই বিপর্যয়ের মোকাবেলায় নিয়োজিত রয়েছে।” একইসঙ্গে তিনি জনগণকে ‘সর্বোচ্চ সতর্কতা’ অবলম্বনের আহ্বান জানান।
সবার দেশ/এফএস




























