এসি ব্যবহারে আকাশছোঁয়া বিদ্যুৎ বিল! খরচ কমানোর কৌশল

রোদ যেন এবার রীতিমতো আগুন হয়ে নামে শহর জুড়ে। চারপাশে শুধু গরম আর ঘাম। স্বস্তির নাম যেন একটাই — এসি। কিন্তু… এ সামান্য স্বস্তির বদলে যদি আসে বিশাল বিদ্যুৎ বিলের বোঝা? তখন তো স্বস্তির চেয়েও বেশি হয়ে ওঠে উৎকণ্ঠা।
তবুও একটু সচেতনতা… একটু বুদ্ধি খরচ করলেই কিন্তু এ খরচটা সহজেই কমিয়ে আনা যায়। আসুন জেনে নিই, কিভাবে—
প্রথমেই, থার্মোস্ট্যাটে রাখুন সংযম:
২৩ থেকে ২৬ ডিগ্রির মধ্যে তাপমাত্রা রাখুন এসি-র। এর বেশি ঠান্ডা মানেই, বিদ্যুৎ খরচের অকারণ উৎসব!
পরিষ্কার রাখুন এসি, দিন নিয়মিত যত্ন:
ধুলো জমলে এসি ক্লান্ত হয়, বাড়ে বিদ্যুৎ খরচ। তাই মাসে অন্তত একবার নিজেই পরিষ্কার করুন ফিল্টার, সময়মতো করান সার্ভিসিং।
ফ্যান আর এসি চালান একসঙ্গে — এক টিমে:
ঘরের ঠান্ডা দ্রুত ছড়ায় ফ্যানে, এসি-র কষ্ট হয় কম। ফলত খরচও থাকে নিয়ন্ত্রণে।
দিনের প্রথমভাগে প্রকৃতির হাওয়া দিন আমন্ত্রণ:
ভোর কিংবা রাত — এ সময়টা এসি বন্ধ রেখে খুলে দিন জানালা। প্রাকৃতিক ঠান্ডায় হালকা স্বস্তি মিলবে বিদ্যুৎ ছাড়াও।
রোদ আটকান মোটা পর্দায়, রাখুন জানালায় ছায়া:
তাপ ঢুকতে না দিলে এসি-র ভারও কমে। আর ঘর হয় একটু ঠান্ডা, একটু আরামদায়ক।
শেষে বলি, বদল আনুন অভ্যাসে:
ঘর ছাড়ার আগে বন্ধ করুন ফ্যান-আলো-এসি। পানির পাম্প কিংবা ওয়াশিং মেশিন চালান বুঝেশুনে, প্রয়োজন অনুযায়ী।
স্বস্তি চাইলে সচেতন হোন, বিদ্যুৎ বিল যেন জীবন না ছোঁয়। স্মার্ট থাকুন, শান্ত থাকুন, খরচে থাকুক নিয়ন্ত্রণ — তবেই তো এসি হবে প্রকৃত আশীর্বাদ!
সবার দেশ/কেএম