Sobar Desh | সবার দেশ সবার দেশ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০১:৫৬, ৩ জুন ২০২৫

আ. লীগ নেতার কারখানায় কুকি-চিনের পোশাক তৈরি, আটক ৪

আ. লীগ নেতার কারখানায় কুকি-চিনের পোশাক তৈরি, আটক ৪
ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য আবদুচ ছালামের মালিকানাধীন একটি পোশাক কারখানায় কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) জন্য ইউনিফর্ম তৈরির অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। অভিযানে তারেকুল ইসলামসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। 

তারেকুল ইসলাম সাবেক এমপি ছালামের ছোট ভাই এবং অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান ওয়েল কম্পোজিট নিট লিমিটেডের পরিচালক।

সোমবার (২ জুন) রাতে চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও থানাধীন কালুরঘাট বিসিক শিল্প এলাকায় অবস্থিত ওয়েল কম্পোজিট নিট লিমিটেডে এ অভিযান চালানো হয়। প্রতিষ্ঠানটি ওয়েল গ্রুপের অধীনে পরিচালিত, যার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম। তিনি দীর্ঘ সময় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান ছিলেন এবং ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৮ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ।

অভিযানে আটক ব্যক্তিরা হলেন:

  • তারেকুল ইসলাম (পরিচালক, ওয়েল কম্পোজিট নিট লিমিটেড),
  • তৌহিদুল ইসলাম (প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা),
  • জামালুল ইসলাম (কর্মকর্তা),
  • মো. আতিকুর রহমান (কর্মকর্তা)।

পুলিশের দাবি, এ চারজন কেএনএফ-এর জন্য ইউনিফর্ম তৈরির উদ্দেশ্যে কাপড় সরবরাহ এবং প্রস্তুতের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন।

এ ঘটনা একক কোনো বিচ্ছিন্ন অভিযান নয়। গত ১৭ মে বায়েজিদ বোস্তামী থানার রিংভো অ্যাপারেলস কারখানা থেকে ২০,৩০০টি ইউনিফর্ম জব্দ করে গোয়েন্দা পুলিশ।

এরপর ২৬ মে নয়াহাট এলাকার একটি গুদাম থেকে ১১,৭৮৫টি পোশাক, এবং ২৭ মে পাহাড়তলীর ডিটি রোডের আরেকটি কারখানা থেকে ১৫,০০০টি পোশাক উদ্ধার করা হয়।

চান্দগাঁও থানার ওসি আফতাব উদ্দিন বলেন, ওয়েল কম্পোজিট নিট লিমিটেডে কেএনএফ-এর ইউনিফর্ম তৈরির জন্য কাপড় সরবরাহ করা হচ্ছিলো। বিষয়টি আমরা গোয়েন্দা সূত্রে নিশ্চিত হওয়ার পর অভিযান চালিয়ে চারজনকে আটক করি।

বিশ্লেষণ ও রাজনৈতিক গুরুত্ব

কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) একটি বিদ্রোহী সশস্ত্র সংগঠন, যারা পার্বত্য চট্টগ্রামে বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যক্রমে জড়িত বলে সরকার দাবি করে। তাদের জন্য ইউনিফর্ম প্রস্তুতের সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের এক প্রভাবশালী নেতার প্রতিষ্ঠানের সম্পৃক্ততা গুরুতর নিরাপত্তাজনিত ও রাজনৈতিক প্রশ্ন তুলছে। বিষয়টি এখন তদন্তের আওতায় থাকলেও এই ঘটনায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সুশাসন ও শৃঙ্খলা রক্ষা নীতির উপর বড় ধরনের চাপ তৈরি হয়েছে।

দেশজুড়ে প্রশ্ন

এ ইউনিফর্ম সরবরাহ ও প্রস্তুত কার্যক্রমে কি আরও প্রভাবশালী মহল জড়িত?
তদন্ত শুধুই 'নিম্নস্তরের কর্মচারী' পর্যায়েই আটকে থাকবে, নাকি উচ্চপর্যায়ে প্রসারিত হবে?
যদি সাবেক এমপি ছালামের প্রতিষ্ঠান এটি করে থাকে, তবে সেটি কি রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়া ছিলো?

সবার দেশ/কেএম

শীর্ষ সংবাদ:

পাঁচ অস্ত্রসহ গ্রেফতার লিটন গাজী সম্পর্কে সব জানালো পুলিশ সুপার
আনসার ভিডিপি ব্যাংকের ৯ কোটি টাকা আত্মসাৎ, ব্যবস্থাপক গ্রেফতার
লালমনিরহাটে স্বামী হত্যা মামলায় স্ত্রী ও পরকীয়া প্রেমিকের যাবজ্জীবন
ভোলাহাটে বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে কলেজ শিক্ষকের মৃত্যু
সৌদি আরবে প্রবাসী বাংলাদেশিরা দালাল চক্রের খপ্পরে
বাংলাদেশ সীমান্তে পঁচছে ৩০ হাজার টন ভারতীয় পেঁয়াজ
সুদের টাকার জন্য নোয়াখালীতে ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেফতার-১
ইমরান খান বেঁচে আছেন, দেশ ছাড়তে চাপ: পিটিআই
হাসিনা-রেহানা-টিউলিপের প্লট দুর্নীতি মামলার রায় আজ
শুরু হলো বিজয়ের মাস
বিডিআর হত্যাকাণ্ডে ভারত জড়িত
খালেদা জিয়ার খোঁজ নিতে হাসপাতালে জামায়াত সেক্রেটারি
স্কুল ভর্তির লটারি ১১ ডিসেম্বর
বিডিআরকে দুর্বল করে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখাতেই পিলখানা হত্যাকাণ্ড
ছয় উপসচিবের দফতর পরিবর্তন