বিইউপিতে তীব্র প্রতিক্রিয়া
মুগ্ধর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হলেন ছাত্রলীগ নেত্রী

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি)-এর আইন বিভাগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি মৌমিতা রহমান ঈপ্সিতার শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রবল আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
মৌমিতা ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ৪৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী। ২০২২ সালে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তার বাবা স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান ছিলেন।
এ নিয়োগের পটভূমি আরও সংবেদনশীল হয়ে ওঠে যখন মনে করিয়ে দেয়া হয়—বিইউপিতেই সরকারবিরোধী জুলাই আন্দোলনের সূচনা হয়েছিলো, যেখানে নেতৃত্বে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সে আন্দোলনে শহিদ হন দুই শিক্ষার্থী—মীর মুগ্ধ ও আইন বিভাগের জোবায়ের।
ঠিক সে আইন বিভাগেই একজন রাজনৈতিক সংগঠনের সাবেক নেত্রীকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়াকে অনেকেই দেখছেন রাজনৈতিক পুনর্বাসনের উদাহরণ হিসেবে।
এনসিপির সংগঠক ও বিইউপির সাবেক শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল মনসুর ফেসবুকে লেখেন, ৫ আগস্ট এ দেশের জনগণ রায় দিয়েছিলো এ দেশে কোনো লীগের অস্তিত্ব থাকবে না। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি মৌমিতা রহমান ঈপ্সিতাকে পুনর্বাসন করা হয়েছে বিইউপির আইন বিভাগের শিক্ষক হিসাবে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া এ বক্তব্যে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন অনেক শিক্ষার্থী ও সাবেক ছাত্রছাত্রী। কেউ বলছেন—যে বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনে প্রাণ গেলো, সেখানে ঘাতকের রাজনৈতিক উত্তরসূরিকে শিক্ষক বানানো হলো।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি।
বিইউপি শিক্ষার্থীদের একাংশ বলছে, মৌমিতার নিয়োগ শুধু একটি চাকরি পাওয়া নয়—এটি দলীয় আনুগত্যের পুরস্কার। প্রশ্ন উঠছে: মৃত্যুর বদলে পুনর্বাসন? আন্দোলনের উত্তরের জায়গায় প্রতিদান কী দলীয় আনুগত্যই?
সবার দেশ/কেএম