Header Advertisement

Sobar Desh | সবার দেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ০০:৫১, ১০ মে ২০২৫

আপডেট: ০০:৫১, ১০ মে ২০২৫

আ.লীগ নিষিদ্ধে ইবি শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ

আ.লীগ নিষিদ্ধে ইবি শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ
ছবি: সবার দেশ

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার (৯ মে) বেলা ৩টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক বটতলা প্রাঙ্গণ থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রধান ফটকের সামনে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা।

এসময় শিক্ষার্থীরা ‘অ্যাকশন অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন— ‘আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, চব্বিশের বাংলায়, ‘আওয়ামী লীগের ঠাঁই নাই’, ‘ওয়ান টু থ্রি ফোর, আওয়ামী লীগ নো মোর’, ‘আওয়ামী লীগ নিপাত যাক, ইনকিলাব জিন্দাবাদ’, ‘আওয়ামী লীগের কালো হাত, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘ক্ষমতা না জনতা, জনতা জনতা’, ‘গোলামী না আজাদি, আজাদি আজাদি’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, আওয়ামী লীগের কবর দে’ ইত্যাদি প্রতিবাদী স্লোগান দিতে থাকেন।

শিক্ষার্থীরা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম কাজ ছিলো যারা জুলাইয়ে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, সে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা। দীর্ঘ আট থেকে নয় মাস সময় অতিবাহিত হয়ে গেলেও সরকার গণহত্যাকারীদের বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করতে পারিনি। আমি দ্রুত সময়ের মধ্যে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চাই, নিষিদ্ধ করতে হবে।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবির সহ-সমন্বয়ক নাহিদ হাসান বলেন, ছাত্রলীগ গত ১৬ বছর ধরে, বিশেষ করে জুলাই অভ্যুত্থানে প্রায় দুই হাজার ভাইকে শহীদ করেছে। এমন কোনো নিকৃষ্ট কাজ নেই, যা ছাত্রলীগ করেনি। আমরা যখন ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের দাবি জানাই, তখন নিষিদ্ধ করা হয়, কিন্তু ছাত্রলীগের বিচারের ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। আমাদের দেশের সরকার যতক্ষণ পর্যন্ত তাদের সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করতে না পারবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের মাঠে থাকতে হবে। যদি আব্দুল হামিদের মতো কেউ পালিয়ে যায়, আর সরকারের কেউ তাদের সাহায্য করে, তাহলে আমাদের জুলাই বিপ্লব হাতছাড়া হতে বেশি সময় লাগবে না। আমরা চাই— আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে এবং তাদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

ইবি সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, আজ প্রায় ৯ মাস পেরিয়ে গেলেও আমাদের যে ম্যান্ডেট ছিলো— খুনি হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিচার— তা অন্তর্বর্তী সরকার এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি। অনেকেই বলে, অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা কী? আমি তাদের বলতে চাই, এ সরকারের বৈধতা হচ্ছে আমার ১৬০০ শহীদ ভাইয়ের রক্ত। আমরা জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র দিতে পারিনি— এটা ছিলো বিপ্লবীদের ব্যর্থতা। কিন্তু বিপ্লবীরা এখনও রাজপথ ছাড়েনি। আমাদের লড়াই এখনও শেষ হয়নি। আওয়ামী লীগকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিষিদ্ধ করতে হবে। আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসরদের বিচার করতে না পারলে, জুলাইয়ের শহীদদের প্রতি আমাদের দায়িত্ব থেকে কখনো রেহাই পাবো না।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাত থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু হয়। যা পরবর্তীতে দেশজুড়ে ছড়িয়ে যায়।

সবার দেশ/কেএম

শীর্ষ সংবাদ:

নিষিদ্ধ হয়ে বিশৃঙ্খলার পরিকল্পনা করছে গণহত্যাকারীরা: আসিফ মাহমুদ
‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ না দেয়া পর্যন্ত ঘরে ফেরা নয়
যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রফতানিতে শীর্ষে বাংলাদেশ
মরিয়ম বেগমের গর্ভে জন্ম নিলো ৬ নবজাতক
ভাইয়ের বাড়িতে ‘স্মৃতিময় ফেরা’ খালেদা জিয়ার
বান্ডিল বান্ডিল টাকা ছুড়ে জামিনের হুমকিদাতা তামান্না গ্রেফতার
ফ্যাসিবাদী দল আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ
১৮ কোটি মানুষ আওয়ামী লীগকে চায় না— ফখরুল
পিছু হটলো ভারত, যুদ্ধবিরতিতে সম্মত
পলাতক শক্তির পুনর্বাসন চায় না জনগণ: তারেক রহমান
খেলার মাঠেও পাকিস্তানের কাছে হারলো ভারত!
ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার বিচার শুরু চলতি মাসেই
আ.লীগ নিষিদ্ধে ইবি শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ
নোয়াখালীতে ট্রাকের ধাক্কায় মা-মেয়ের মৃত্যু
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে ৪৩ দল একাট্টা
২ ম্যাচ হেরেও বিশ্বকাপের টিকিট পেলো বাংলাদেশ নারী দল