Header Advertisement

Sobar Desh | সবার দেশ জয়নুল আবেদীন


প্রকাশিত: ০২:২২, ১১ মে ২০২৫

প্রবন্ধ

জান্নাতুল বাকী ও প্রসঙ্গান্তর

জান্নাতুল বাকী ও প্রসঙ্গান্তর
ছবি: সবার দেশ

(৯ম র্পব)

যে নির্দয় নিধনযজ্ঞের ভেতর দিয়ে আব্বাসীয়রা ক্ষমতায় এসে সুফি- সাধক, মুক্ত চিন্তাবিদ ও বৈজ্ঞানিক-দার্শনিকদের ওপর অবর্ণনীয় নির্যাতনসহ নির্দয় হত্যালীলা চালিয়েছিল- নিয়তির নির্মম পরিহাসে এর চেয়েও শতগুণ ভয়াবহ নিধনযজ্ঞের ভেতর দিয়েই আব্বাসীয়রা বিনাশ হতে শুরু করলো। আব্বাসীয়দের বাগদাদের হেরেমে শেষ আঘাত হানলো মোঙ্গল নেতা হালাকু খান। হালাকু খানের বাহিনী আব্বাসীয়দের শেষ সম্রাট আল মুনতাসির বিল্লাহকে ৪০ দিন অবরোধ করে রাখার পর হালাকু খানের নিকট প্রাণভিক্ষা চেয়ে আত্মসমর্পণ করে। নিষ্ঠুর হালাকু বাহিনী খলিফা ও খলিফার পরিবারের শেষ শিশুটিকে পর্যন্ত নির্মমভাবে হত্যা করে। ইবনে খালদুনের মতে, মোঙ্গলগণ ছয় সপ্তাহ ধরে লুণ্ঠন ও হত্যাকান্ড চালিয়ে ষোল লক্ষ নর-নারী, ও শিশুকে কেটে অথবা পিষে মেরে ফেলেছিল।

নিষ্ঠুর ভোগবাদী ও বস্তুবাদী আব্বাসীয়দের ৫০০ বছরের অর্জন কয়েক দিনের মধ্যে ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত হলো।

এভাবে হযরত উমর (রা.) পরলোক গমনের পর পর নবী করিম (স.)- এর পরবর্তী বংশধরগণের উপর নির্যাতন ও নিপীড়ন শুরু হয়। উমাইয়া এবং আব্বাসীয়রা যখন যারা ক্ষমতায় এসেছে তখন তারাই ফাতিমীয়দের প্রতি নিষ্ঠুরতাসহ নানাভাবে নির্মূল করতে শুরু করেছে। এদের সবাই আহলে বাইয়েত বা ফাতেমা (রা.)-এর বংশধরগণকে খুঁজে খুঁজে বের করে হত্যা করতো। এরাই ইমামে আজম আবু হানিফাকে কারাগারে বন্দী করে দৈনিক ১০টি করে বেত্রাঘাত দিয়েছিল। এরাই ইমাম সাফেয়ীকে কারাগারে বন্দী রেখে বেত্রাঘাতে রক্তজর্জরিত করেছিল এবং তাঁর ১০ জন করে অনুসারীকে প্রতিদিন হত্যা করতো। এরাই মনসুর হাল্লাজকে হত্যা করেছিল। এরা একদল ভাড়া করা তথাকথিত মোল্লা পুষতো এবং তাদের পরামর্শেই জগতখ্যাত তাপস হযরত আবদুল কাদির জিলানী (র)-কে কাফের বলে ফতোয়া দিয়েছিল।

‘বিশেষ করে এগার শতকের শেষ দিকে (আহলে বাইয়েত ভক্ত) সুফিদের উপর চরম অত্যাচার নেমে আসে। শরিয়তি উলামাগণ তাদেরকে ইসলামের সাথে সম্পর্কহীন বলে ঘোষণা করতে থাকে। তাদের চরিত্রে নানা প্রকার কালিমা লিপ্ত করে তাদেরকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করে। অপরদিকে নানা প্রকার জাগতিক ও রাজনৈতিক স্বার্থের কারণে শাসকগণ শরিয়তি উলামাদের কাছে পরামর্শ নিয়ে তাদের পরামর্শে সুফি সাধকগণকে নানাভাবে অত্যাচার- উৎপীড়ন করতে থাকে। সুফিদের এমন একটা যুগসন্ধিক্ষণে আবির্ভূত হয়েছেন হুজ্জাতুল ইসলাম ইমাম গাজ্জালী (র.)। তিনি শরিয়তের সাথে সুফি দর্শনের সমন্বয় সাধন করে প্রায় চারশত পুস্তক রচনা করেন। এর পরপরই একে একে আবির্ভূত হন তাপস সম্রাট ফরিদউদ্দিন আত্তর (র.), অলৌকিক ক্ষমতাসম্পন্ন অলিকুল সম্রাট হযরত আবদুল কাদির মুহিউদ্দিন জিলানী (র.), আউলিয়াদের অগ্রনায়ক ও অন্তর্দৃষ্টি সম্পন্ন মাসুকে রাব্বানী খাজা ওসমান হারুনী (র.) জগৎ বিখ্যাত তাপস ও শ্রেষ্ঠ ‘অলি হযরত খাজা মঈনুদ্দিন চিশতি (র.) ও নিজামুদ্দিন আউলিয়া (র.)। অসাধারণ জ্ঞানী, পন্ডিত, সুলেখক ও যুক্তিবাদী ইমাম গাজ্জালী (র.) হকিকতকে শরিয়তের ভিত্তিমূল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হন। তিনি তাঁর যুক্তিতে প্রমাণ করতে সক্ষম হন ‘যে ব্যক্তি মনে করে হকিকত শরিয়তের বিপরীত, সে কুফরের কাছাকাছি। হকিকত শরিয়তের ভিত্তিমূল না হলে তা বর্জনীয়।' তিনি মুসলিম বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ‘চিন্তাবিদ ও দার্শনিক। 

ইসলামিক দর্শন চিন্তার জন্য ইমাম গাজ্জালী বিশ্বের ইতিহাসে অক্ষয় হয়ে থাকবেন। তাঁর অনেক গ্রন্থ ইংরেজি বাংলাসহ বহু ভাষায় অনূদিত হয়ে মুসলিম দার্শনিক হিসেবে সারা বিশ্বে সমাদৃত ও গৃহীত হয়ে সুফি চিন্তা সুন্নী মাযহাবের অন্তর্ভুক্ত হয়ে বৈজ্ঞানিক ভিত্তি প্রাপ্ত হয়। সমসাময়িক কালে ইরাক, পারস্য ও আরব ভূমি থেকে সুফি সাধকগণ শান্তির বার্তা নিয়ে পাক-ভারতসহ পূর্ব এশিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। তাদের প্রচেষ্টায় শরিয়তের শুষ্ক ও বিরাণ ভ‚মিতে ভাবরস ও প্রেমরস যুক্ত হয়ে ইসলামের মহানুভবতা অন্ধকারের মহামরু পেরিয়ে মহাকাশের সীমানা ছাড়িয়ে মরমিয়া সৌতাত যখন মহাকাশ ছুঁতে শুরু করেছিল ঠিক তখনই ওহাবী আন্দোলন শুরু হয়।
জান্নাতুল বাকীর সুচিহ্নিত সমাধিগুলো নবী করিম (স.) স্বয়ং মাঝে মাঝে জিয়ারত করতেন। এর প্রমাণ হযরত আয়েশা সিদ্দিকার (র.) বর্ণনা। তাঁর বর্ণনা থেকে আমরা জানতে পারি, নবী করীম (স.) গভীর রাতে মাঝে মাঝে জান্নাতুল বাকীতে আসতেন। কবর সুচিহ্নিত থাকা যদি শিরকি হয় তবে নবী করিম (স.) কবরগুলো সুচিহ্নিত রাখতেন না। ইসলামের বিধি-বিধানে এমন কিছু কাজ রয়েছে যা নবী করিম নিজে পালন করে তার উম্মতগণকে পালন করতে বারণ করে গেছেন। পরিবেশ পরিস্থিতির কারণে নিজে পালন করতে গিয়ে উম্মতের জন্য বারণ করার মতো বলেই বারণ করে গেছেন। কবর যিয়ারত করা শিরক হলে তিনি কোনো না কোনো ভাবে সমাধি সুচিহ্নিত রাখার বিষয়টিও বারণ করে যেতে পারতেন। তা তিনি করেননি, বারণ করে যাননি চার খলিফাসহ চার তরিকার চারজন ইমামও। বারণ করে যাননি বলেই বাগদাদ, পাকিস্তান, ভারত, বাংলাদেশসহ বিশ্বের এমন কোনো দেশ নেই যেখানে মুসলিম মনীষীদের সমাধি নেই। যে যুক্তিতে ইসলামের প্রবর্তক হযরত মুহম্মদ (স.) এবং জন্মভ‚মি আরবকে আদর্শ (মডেল) করে বিশ্বের মুসলিম সমাজ ও মুসলিম রাষ্ট্র পরিচালিত হয়ে থাকে সে যুক্তিতে আঠারো শতকে বাগদাদের হযরত আবদুল কাদির জিলানী (র.), আজমিরের হযরত খাজা মুঈনুদ্দিন চিশতি (র.) পূর্ব বঙ্গের হযরত শাহজালাল (র.)সহ বিশ্বের সব মুসলিম মনীষীর চিহ্নিত সমাধিফলক রাখা না রাখা নিয়েও প্রশ্ন উঠতো। একই যাত্রায় দু'রকমের ফল কেউ প্রত্যাশা করে না। এক যাত্রায় দু'রকমের ফল পাওয়া হলে নিশ্চিত করে বলা চলে যে কোনো একটি ফল ভুল। হয়তো বিশ্ব মুসলিম ভুল করছে, নয়তো ভুল করছে আরব।

হরিণের মহামূল্যবান সুগন্ধী নাভি (মৃগনাভি বা কস্তুরী) যে কারণে হরিণের জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায় ঠিক সে কারণে ফাতিমা (রা.)-এর পরিবারের অসাধারণ প্রজ্ঞা, জনপ্রিয়তা ও জনসমর্থনই তাদের জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ইতিহাস লেখক হাসান আলী চৌধুরীর ভাষায়, ‘আব্বাসীয়গণ ক্ষমতাসীন হলে ইমাম হাসানের বংশধরগণ রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়িয়ে সাহিত্য ও দর্শন চর্চায় আত্মনিয়োগ করেন। তাঁরা মদিনায় বাস করতেন। মক্কা, মদিনা ও সমগ্র মুসলিম জগৎ তাদেরকে ভক্তি ও শ্রদ্ধা করতো। কিছু বিষয় সম্পত্তি এবং জ্ঞানচর্চা হতে অর্জিত আয়ে তারা সাধারণ জীবনযাপন করতেন। সার্বজনীন শ্রদ্ধেয় হযরত আলী (ক.)-এর বংশধরগণ যদি আব্বাসীয়দের আন্দোলনে যোগদান না করতেন তা হলে আব্বাসীয়গণ জনসমর্থন লাভ করতে পারতেন না এবং তাদের পক্ষে উমাইয়াদের পতন হয়তো সম্ভবপর হয়ে উঠতো না। আলীর বংশধরদের উপর জনসাধারণের অসীম ভক্তি ও শ্রদ্ধার জন্য খলিফা মনসুর বিচলিত হয়ে ওঠেন এবং তাঁদের ধ্বংস সাধনে তৎপর হয়ে ওঠেন’

আরবরা নিজের তখততাউস ভাইরাস মুক্ত করার জন্য সবকিছু করতে পারে। তখততাউস অমর ও অক্ষয় রাখার উদ্দেশ্যে সেই খিলাফত আমল থেকে যতো হত্যাকান্ড আরবের মাটিতে সংঘটিত হয়েছে পৃথিবীর আর কোনো দেশে কোনো জাতির মধ্যে এর এক-দশমাংশ হত্যাকাÐও সংঘটিত হয়নি। আরবদের পেছনের ক্ষমতার পালা বদলের ইতিহাসতো তাই বলে। ধর্মকে রাজনীতির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ধর্মপ্রাণদের যতো সহজে কাবু করা যায়, আইন ও শক্তি প্রয়োগ করে কিংবা গলাবাজি করে ততো সহজে কাবু করা যায় না। ধর্মপ্রাণদের কাবু করতে হলে ধর্মের দোহাই দরকার। তাদের কাছে ধর্মের দোহাইয়ের অমোঘ হাতিয়ার হলো আল্লাহর পবিত্র কোরআন্ ও আখেরী নবী হযরত মুহম্মদ (স.)-এর সুন্নাহ। এ দুই পবিত্র আমানতের যারা রক্ষক তাদের অনেককে ভক্ষক সাজাতে খুব বেশি বেগ পেতে হয় না। সামান্য প্রলোভনের দ্বারা তাদের অনেককে দিয়ে নিজেদের পছন্দমতো কোরআনুল করীমের ব্যাখ্যাসহ নতুন নতুন হাদিস বানানো যায়। আল্লাহ রাসূলের আসল বাণীর সাথে নকল বাণী শামিল করে স্বার্থ উদ্ধারের পদ্ধতি সেই খিলাফত আমল থেকেই শুরু হয়ে চলছে অদ্যাপি। দেশ বিভাগের সময় একবার মাওলানা আবুল কালাম আজাদকে প্রশ্ন করা হয়েছিল-
-    কিন্তু আলেমগণও তো কায়েদে আজমের (এম. এ. জিন্নাহ) সঙ্গে ছিলেন?
ধর্ম ও সম্রাট আকবরের সাথেও অনেক আলেম ছিল। ওরা একটা নতুন আবিষ্কার করলো। আমাদের ইতিহাসে আলেমদের কর্মকান্ডের খতিয়ানে ভরা। সর্বযুগে তারা ইসলামের অপমান ও মর্যাদাহানি করেছে।
‘কারবালা হত্যাকান্ডের নায়ক ইয়াজিদের পাশেও আলেম কম ছিল না- যারা গায়ে পাজামা পাঞ্জাবী এবং মাথায় টুপি পরা অবস্থায় ইয়াজিদের পাশে বসে ইয়াজিদের কর্মকান্ডকে কোরআন ও সুন্নাহর আলোকে বৈধতা ঘোষণা করে যেতো। দাঁড়ি-পাগড়ীধারী তাদেরই ৩৫০ জন আলেম (?) ইমাম হোসেনকে রাষ্ট্রদ্রোহী ঘোষণা দিয়ে কারবালার হত্যাকান্ডকে বৈধতা দিয়েছিল। সে সময় একমাত্র হযরত হাসান বসরী (রা.) প্রতিবাদ করেছিলেন। তখন থেকেই মোহাম্মদী ইসলাম বিকৃত হয়ে ইয়াজিদীয়া ইসলামের গোড়াপত্তন শুরু হয়। অসুস্থতার কারণে যুদ্ধে না যেতে পারার কারণে নবী পরিবারের একমাত্র পুরুষ সদস্য ইমাম জয়নুল আবেদীন রক্ষা পেয়ে যান। তাঁকে প্রথমে দামেস্কের কারাগারে ও পরে মদিনায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এক সময় তিনি রাষ্ট্রীয় কর্মকান্ড থেকে সম্পূর্ণ দূরে সরে যান। পরে মদিনা থেকে চার দিনের পথ ‘নেবু’ নামক স্থানে গিয়ে অধিকাংশ সময় এক নির্জন পাহাড়ের গুহায় উপাসনারত থাকতেন। ইয়াজিদ বাহিনী মদিনায় প্রবেশ করে ইমামপন্থীদের অকথ্য নির্যাতনসহ কয়েক হাজার পুরুষকে হত্যা করে। মদিনার মসজিদ থেকেও তাঁদের বিতাড়িত করে। ইয়াজিদপন্থী আলেমগণ মসজিদ দখল করে নেয়। বিতাড়িত আলেমগণ প্রাণের ভয়ে অজ্ঞাতবাসের মতো নির্জনে তৈরি করতে থকে খানকা শরীফ, দরবার শরীফ ইত্যাদি স্থাপনা। খানকা শরীফ ও দরবার শরীফের মাধ্যমে আবার কেউ কেউ দেশ থেকে দেশান্তর হয়ে পীর- আউলিয়া হিসেবে রাসূল (স.)-এর ধর্মের মূলস্রোতধারায় ধর্ম প্রচার করতে আরম্ভ করে। অপর দিকে নবী (স.)-এর বংশধরদের উপর বিষোদগারসহ মসজিদে শিকড় গাড়তে থাকে ইয়াজিদী মতবাদ। মসজিদকেন্দ্রিক ইয়াজিদপন্থী আলেম থেকে কাজী নির্বাচিত হয়ে আত্মগোপনকারী আলেম ও তাঁদের ধর্মীয় প্রচার পদ্ধতিকে অবৈধ ঘোষণা করে তাদের নিশ্চিহ্ন করতে শুরু করে।'(কাজী মো. বেনজির হক চিশতি)।

রাজশাহী কলেজ কেন্দ্রীয় মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব মোহাম্মদ মাকছুদ উল্লাহ বিশুদ্ধ হাদিস সংকলনে ইমাম মুসলিম (র.)-এর অবদান সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেন-
“ইসলামী জ্ঞানের দ্বিতীয় নির্ভুল উৎস রাসূল (স.)-এর ‘হাদিসে' ভেজাল ঢোকানোর হীন ষড়যন্ত্র চলছে যুগে যুগে। খোলাফায়ে রাশেদার যুগের পর বিশেষ করে ওমর ইবনে আবদুল আজিজ (র.)-এর ইন্তেকালের পর দরবারি আলেমরা রাজা-বাদশাহদের মনোরঞ্জনে 'জাল হাদিস' তৈরির মহোৎসবে মেতে ওঠে। তারা ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করতেও হাদিস তৈরিতে কম যায়নি মুসলিম উম্মাকে হেদায়েতের পথ থেকে বিচ্যুত করতে, জ্ঞানের উৎসে ভুল ঢোকাতেও জাল হাদিস তৈরি করে ছড়িয়ে দেওয়া হতো অত্যন্ত কৌশলে। ইমাম মুসলিম (র.) দীর্ঘ পনের বছরের সাধনায় এ ধরনের তিন লক্ষ হাদিস থেকে যাচাই-বাছাই করে মাত্র চার হাজার, এবং পুনরুল্লেখসহ ‘সহিহ’ হাদিসের সর্বমোট সংখ্যা দাঁড়ায় সাত হাজার দুই'শ পচাত্তরটি, যা তিনি মুসলিম শরিফে সংকলন করেছেন।’ (চলবে,,,)

লেখক: আইনজীবী ও কথাসাহিত্যিক

শীর্ষ সংবাদ:

নিষিদ্ধ হয়ে বিশৃঙ্খলার পরিকল্পনা করছে গণহত্যাকারীরা: আসিফ মাহমুদ
‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ না দেয়া পর্যন্ত ঘরে ফেরা নয়
যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রফতানিতে শীর্ষে বাংলাদেশ
মরিয়ম বেগমের গর্ভে জন্ম নিলো ৬ নবজাতক
ভাইয়ের বাড়িতে ‘স্মৃতিময় ফেরা’ খালেদা জিয়ার
বান্ডিল বান্ডিল টাকা ছুড়ে জামিনের হুমকিদাতা তামান্না গ্রেফতার
ফ্যাসিবাদী দল আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ
১৮ কোটি মানুষ আওয়ামী লীগকে চায় না— ফখরুল
পিছু হটলো ভারত, যুদ্ধবিরতিতে সম্মত
পলাতক শক্তির পুনর্বাসন চায় না জনগণ: তারেক রহমান
খেলার মাঠেও পাকিস্তানের কাছে হারলো ভারত!
ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার বিচার শুরু চলতি মাসেই
আ.লীগ নিষিদ্ধে ইবি শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ
নোয়াখালীতে ট্রাকের ধাক্কায় মা-মেয়ের মৃত্যু
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে ৪৩ দল একাট্টা
২ ম্যাচ হেরেও বিশ্বকাপের টিকিট পেলো বাংলাদেশ নারী দল