শাহবাগে অবস্থান চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা ছাত্র-জনতার
‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ না দেয়া পর্যন্ত ঘরে ফেরা নয়

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হলেও দল হিসেবে নিষিদ্ধ না করা এবং ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত ঘরে না ফেরার অঙ্গীকার করেছে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতা।
শনিবার রাত ১০টার পর সরকারের ঘোষণা আসে— বিচারাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম স্থগিত থাকবে।
তাৎক্ষণিক উল্লাস দেখা গেলেও কিছুক্ষণের মধ্যেই শাহবাগে ফিরে যান আন্দোলনকারীরা। সেখানে তারা স্পষ্ট ঘোষণা দেন— শুধু কার্যক্রম নয়, আওয়ামী লীগ নামক দলটিকেই নিষিদ্ধ করতে হবে। আর সরকারের প্রতিশ্রুত ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ দিতে হবে আগামী ৩০ কর্মদিবসের মধ্যেই।
শাহবাগে সরেজমিন চিত্র:
হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের পাশ থেকে মিছিল করে আবার শাহবাগ মোড়ে জড়ো হন তারা। রাত ১১টা পর্যন্ত আন্দোলনকারীরা অবস্থান চালিয়ে যান, স্লোগান দেন- ‘জুলাই ঘোষণাপত্র না আসা পর্যন্ত ঘরে ফেরা নয়!’
কী বলছেন আন্দোলনকারীরা?
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ঘোষণা শুভ সূচনা মাত্র। আমরা একবিংশ শতাব্দীর জাতির বিবেক হতে চাই— যারা বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনো খুনি গোষ্ঠীকে রাষ্ট্রে জায়গা দিতে পারে না। — বলেন এক ছাত্রনেতা।
এনসিপি নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহর বার্তা:
‘আপনারা কেউ রাজপথ ছাড়বেন না। সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়ে আমরা আমাদের মতামত আনুষ্ঠানিকভাবে জানাবো।’ — লিখেছেন তিনি নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে।
আন্দোলন স্থল ঘিরে সতর্কতা:
পুলিশের উপস্থিতি রয়েছে, তবে এখন পর্যন্ত কোনও সহিংসতা হয়নি। জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশের পূর্বে আন্দোলন স্থিমিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলেই ধারণা করছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।
উল্লেখ্য, সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদের দেশত্যাগের পর থেকে এনসিপি ও অন্যান্য রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে রাজপথে নামে। এ দাবির পরিপ্রেক্ষিতেই অন্তর্বর্তী সরকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সংশোধন করে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়।
শুধু দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেই আন্দোলন থেমে যাচ্ছে না। এ জনরোষ থামাতে হলে অন্তর্বর্তী সরকারকে স্পষ্ট করে জানাতে হবে— ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ আসলে কী এবং তা কবে প্রকাশ পাবে।
সবার দেশ/কেএম