আসিফ মাহমুদের ফেসবুক পোস্টে হুঁশিয়ারি
‘নিষিদ্ধ হয়ে বিশৃঙ্খলার পরিকল্পনা করছে গণহত্যাকারীরা’

আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিচার চলাকালীন দলটির সব ধরনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এমন প্রেক্ষাপটে ‘গণহত্যাকারীরা দেশে বিশৃঙ্খলার পরিকল্পনা করছে’—এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।
শনিবার (১০ মে) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেয়া এক পোস্টে তিনি লেখেন— বিচারিক প্রক্রিয়ায় চূড়ান্তভাবে নিষিদ্ধ হওয়াই অধিকতর গ্রহণযোগ্য ও স্থায়ী সমাধান। আইসিটি আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধন ইতোমধ্যে করা হয়েছে। কিন্তু নিষিদ্ধ ঘোষণার পর তথাকথিত ‘গণহত্যাকারীরা’ সারা দেশে বিশৃঙ্খলার পরিকল্পনা করছে। সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।
কী ঘটেছে শনিবার রাতে?
রাত ৮টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকারের জরুরি উপদেষ্টা সভা। সভায় সভাপতিত্ব করেন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আলোচনায় গৃহীত হয় তিনটি সিদ্ধান্ত:
- আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সংশোধনী অনুমোদন
- আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ
- ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ চূড়ান্ত করে প্রকাশ
আসিফ নজরুল জানালেন:
- নতুন সংশোধনী অনুযায়ী ট্রাইব্যুনাল এখন রাজনৈতিক দল ও সমর্থক গোষ্ঠীকেও বিচারের আওতায় আনতে পারবে।
- নিরাপত্তার স্বার্থে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে সাইবার স্পেসসহ আওয়ামী লীগের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
আসিফ মাহমুদের এই হুঁশিয়ারির পর রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন— দেশজুড়ে নাশকতা ও তথ্য যুদ্ধের আশঙ্কা অমূলক নয়। বিচারাধীন আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব এ মুহূর্তে চুপচাপ থাকলেও, নিচতলার নেটওয়ার্ক সক্রিয় হতে পারে।
আওয়ামী লীগের একাধিক কেন্দ্রীয় নেতার বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে গণহত্যা, ধর্ষণ, নিপীড়ন ও অগ্নিসংযোগে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে মামলা চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। নতুন সংশোধনী আইনে দল হিসেবে আওয়ামী লীগও বিচারের মুখোমুখি হবে।
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হলেও রাজনৈতিক উত্তেজনার শেষ হয়নি। বিচার, দলীয় নিষেধাজ্ঞা ও ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’—এ তিনটি শব্দ নিয়েই এখন বাংলাদেশের রাজনীতির ভবিষ্যৎ মোড় ঘুরবে।
সবার দেশ/কেএম