চট্টগ্রামের ন্যাশনাল হাসপাতালে অলৌকিক সাফল্য
মরিয়ম বেগমের গর্ভে জন্ম নিলো ৬ নবজাতক

চট্টগ্রামের ন্যাশনাল হাসপাতাল লিঃ-এ আজ এক বিরল ও ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী হয়ে থাকলো। কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার জাকির পাড়ার মরিয়ম বেগম (৩০) একসঙ্গে ৬ নবজাতকের মা হয়েছেন।
স্বামী নুর মোহাম্মদসহ পরিবারের আনন্দ ছড়িয়ে পড়েছে চারদিকে। চিকিৎসকদের মতে, একই গর্ভে ৬ সন্তানের জন্ম দেয়া মায়ের সাহস, ধৈর্য এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রার এক অনন্য উদাহরণ।
মেডিকেল টিমের নেতৃত্বে ডা. নাজনিন সুলতানা লুলু:
গাইনি ও প্রসূতিবিদ্যা বিশেষজ্ঞ ডা. নাজনিন সুলতানা লুলু (এফসিপিএস) এর নেতৃত্বে একদল দক্ষ চিকিৎসক ও নার্সের সমন্বয়ে সফলভাবে সম্পন্ন হয় এ জটিল ডেলিভারি প্রক্রিয়া। ডা. লুলু বলেন, এটি একটি চ্যালেঞ্জিং মেডিকেল কেস ছিলো। মা ও শিশুদের সুস্থতায় আমাদের টিম দিনরাত কাজ করেছে। আল্লাহর অশেষ রহমতে সবকিছু সুষ্ঠুভাবে শেষ হয়েছে।
প্রসবের পর মরিয়ম বেগম ও ৬ নবজাতককে বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়, শিশুদের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল এবং মাও ধীরে ধীরে সুস্থ হচ্ছেন। চিকিৎসকরা বলছেন, একসঙ্গে ৬ সন্তানের জন্ম দেয়া বিশ্বব্যাপীই অত্যন্ত বিরল, যা মেডিকেল ইতিহাসে একটি মাইলফলক হিসেবে রেকর্ড হবে।
আল্লাহর রহমত ও মায়ের সাহস:
মরিয়ম বেগমের পরিবার এ সাফল্যকে ‘আল্লাহর অলৌকিক দান’ বলে অভিহিত করেছেন। স্বামী নুর মোহাম্মদ বলেন, সবকিছু আল্লাহর ইচ্ছায় সম্ভব হয়েছে। স্ত্রীর সাহস আর ডাক্তারদের প্রচেষ্টায় আজ আমরা ৬ সন্তানের বাবা-মা হয়েছি।
ন্যাশনাল হাসপাতাল চট্টগ্রামের ফিজিওথেরাপিস্ট জাহাঙ্গীর আলম জানান, এটি আমাদের প্রতিষ্ঠানের জন্য গর্বের মুহূর্ত। এ সাফল্য চিকিৎসাক্ষেত্রে বাংলাদেশের সামর্থ্যকে বিশ্বদরবারে আরও উজ্জ্বল করেছে।
মরিয়ম বেগম ও তার পরিবারের এ আনন্দ শুধু একটি পরিবারই নয়, গোটা দেশকে আশাবাদী করছে। চিকিৎসক, পরিবার এবং সর্বোপরি ঐশ্বরিক সহায়তায় এ অসম্ভবকে সম্ভব করার ঘটনা আগামী দিনেও মানুষের মনে প্রেরণা জোগাবে।
সবার দেশ/কেএম