আইসিটি আইনের সংশোধনী গেজেট প্রকাশ
যে আইনে নিষিদ্ধ হলো আওয়ামী লীগ
রাজনৈতিক দলকেও শাস্তির আওতায় আনার বিধান করে সংশোধিত আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন অনুমোদন দেয়া হয়।

শনিবার (১০ মে) রাতে এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তে সংশোধিত আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন-এর গেজেট প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠকে এ সংশোধনী অনুমোদন দেয়া হয়। সভাপতিত্ব করেন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সংশোধিত আইন কী বলছে?
- নতুন গেজেট অনুযায়ী—‘সংগঠন’ বলতে বোঝাবে—
- যে কোনো রাজনৈতিক দল, বা সে দলের অধস্তন, সংশ্লিষ্ট, বা তার সমর্থকদের, যারা ট্রাইব্যুনালের মতে সংশ্লিষ্ট অপরাধে যুক্ত, প্রচার বা সহায়তায় ভূমিকা রেখেছে।
শাস্তির ধারা আরও কঠোর:
- যদি কোনো সংগঠন গণহত্যা, ধর্ষণ বা মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকে, আদেশ দেয়, সহায়তা করে বা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়—তাহলে ট্রাইব্যুনাল সে সংগঠনের কার্যক্রম স্থগিত বা নিষিদ্ধ করতে পারবে।
- এছাড়া সংগঠনের নিবন্ধন বা লাইসেন্স বাতিল, এমনকি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করারও ক্ষমতা দেয়া হয়েছে ট্রাইব্যুনালকে।
কী পরিবর্তন এসেছে এ সংশোধনীতে?
- আগে শুধুমাত্র ব্যক্তিকে বিচারের আওতায় আনা যেত
- এখন দল বা প্রতিষ্ঠানকেও একই অপরাধে শাস্তি দেয়া যাবে
- ট্রাইব্যুনালের এখতিয়ার আরও বিস্তৃত হয়েছে—সরাসরি সাংগঠনিক নিষেধাজ্ঞা দিতে পারবে
আইন বিশেষজ্ঞদের মত:
এ সংশোধনী মূলত আওয়ামী লীগের বিচারিক নিষেধাজ্ঞাকে আইনগত ভিত্তি দিয়েছে। এখন শুধু ব্যক্তি নয়—গণহত্যায় জড়িত দল, সহযোগী সংগঠন বা ফান্ডিং প্রতিষ্ঠানও বিচারের মুখোমুখি হবে।
এ গেজেট বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি নতুন দিকচিহ্ন—যেখানে সংগঠন হিসেবে দলকেও যুদ্ধাপরাধের জন্য বিচারের মুখোমুখি করার আইনগত ভিত্তি তৈরি হলো।
সবার দেশ/কেএম