এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ফেল করেছে ৬ লাখ ৬৬০ শিক্ষার্থী, পাসের হার ৬৮.৪৫%
এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এ বছর গড় পাসের হার ৬৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুর ২টায় প্রতিটি শিক্ষা বোর্ডের নিজস্ব ওয়েবসাইটে এ ফল প্রকাশ করা হয়। কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ব্যবস্থাপনায় সব বোর্ডের চেয়ারম্যানরা সম্মিলিতভাবে ফলাফলের সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন।
প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, সাধারণ ৯টি শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ড মিলিয়ে এ বছর ৬ লাখ ৬৬০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছে। এদের মধ্যে ৩ লাখ ২৪ হাজার ৭১৬ জন ছাত্র এবং ২ লাখ ৭৫ হাজার ৯৪৪ জন ছাত্রী।
এ বছর সর্বমোট ১ লাখ ৩৯ হাজার ৩২ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ অর্জন করেছে, যা গত বছরের তুলনায় ৪৩ হাজার ৯৭ জন কম। বোর্ডভিত্তিক জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা নিম্নরূপ:
-
ঢাকা বোর্ড: ৩৭,০৬৮
-
রাজশাহী বোর্ড: ২২,৩২৭
-
কুমিল্লা বোর্ড: ৯,৯০২
-
যশোর বোর্ড: ১৫,৪১০
-
চট্টগ্রাম বোর্ড: ১১,৮৪৩
-
বরিশাল বোর্ড: ৩,১১৪
-
সিলেট বোর্ড: ৩,৬১৪
-
দিনাজপুর বোর্ড: ১৫,০৬২
-
ময়মনসিংহ বোর্ড: ৬,৬৭৮
-
মাদ্রাসা বোর্ড: ৯,০৬৬
-
কারিগরি বোর্ড: ৪,৯৪৮
পাসের হারে শীর্ষস্থানে রয়েছে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড, যেখানে গড় পাসের হার ৭৭.৬৩ শতাংশ। এরপর রয়েছে যশোর বোর্ড (৭৩.৬৯%), কারিগরি বোর্ড (৭৩.৬৩%), চট্টগ্রাম বোর্ড (৭২.০৭%)। মাদ্রাসা বোর্ডে পাসের হার ৬৮.০৯%, সিলেটে ৬৮.৫৭%, ঢাকায় ৬৭.৫১%, দিনাজপুরে ৬৭.০৩%, কুমিল্লায় ৬৩.৬০%, ময়মনসিংহে ৫৮.২২% এবং সবচেয়ে কম পাসের হার বরিশাল বোর্ডে—৫৬.৩৮%।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এ বছর ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ড মিলে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৯ লাখ ২৮ হাজার ৯৭০ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৯ লাখ ৬১ হাজার ২৩১ জন এবং ছাত্রী ৯ লাখ ৬৭ হাজার ৭৩৯ জন।
সারা দেশে ৩ হাজার ৭১৫টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। গত ১০ এপ্রিল শুরু হয়ে ১৩ মে শেষ হওয়া পরীক্ষা শেষে মাত্র দুই মাসের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হলো। ফলাফল মূল্যায়নে বাস্তবভিত্তিক নীতি অনুসরণ করা হয়েছে বলে জানানো হয়।
সবার দেশ/এফএস




























