পাসের হার ও জিপিএ-৫ কমার কারণ ব্যাখ্যা করলো আন্তঃশিক্ষা বোর্ড
২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পাসের হার এবং জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। এবার গড় পাসের হার ৬৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৩২ জন শিক্ষার্থী। অথচ গত বছর এই পরীক্ষায় পাসের হার ছিল ৮৩ দশমিক ০৩ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১ লাখ ৮২ হাজার ১২৯ জন।
এই পার্থক্যের ব্যাখ্যা দিয়েছে বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি। কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দোকার এহসানুল কবীর জানান, এবার উত্তরপত্র মূল্যায়নে কোনও রকম ‘ওভার মার্কিং’ বা ‘আন্ডার মার্কিং’ করা হয়নি। তিনি বলেন, “যথাযথভাবে এবং নিরপেক্ষভাবে উত্তরপত্র মূল্যায়নের কারণে প্রকৃত পাসের হার প্রতিফলিত হয়েছে।”
আজ বৃহস্পতিবার, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সভাকক্ষে ফলাফল বিশ্লেষণ উপস্থাপনকালে তিনি বলেন, “বিগত বছরগুলোতে সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে নম্বর বাড়িয়ে পাসের হার ও জিপিএ-৫ এর সংখ্যা কৃত্রিমভাবে বাড়ানো হতো। এবার তা হয়নি।”
২০২৫ সালের ফলাফলে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড পাসের হারে সবার শীর্ষে রয়েছে—৭৭.৬৩ শতাংশ। এরপর রয়েছে যশোর বোর্ড (৭৩.৬৯ শতাংশ), কারিগরি শিক্ষা বোর্ড (৭৩.৬৩ শতাংশ), চট্টগ্রাম (৭২.০৭ শতাংশ), সিলেট (৬৮.৫৭ শতাংশ), মাদ্রাসা বোর্ড (৬৮.০৯ শতাংশ), ঢাকা (৬৭.৫১ শতাংশ), দিনাজপুর (৬৭.০৩ শতাংশ), কুমিল্লা (৬৩.৬০ শতাংশ), ময়মনসিংহ (৫৮.২২ শতাংশ) এবং বরিশাল বোর্ড (৫৬.৩৮ শতাংশ)।
সঠিক মূল্যায়নের পথে এগোনোর এই পরিবর্তনকে ‘বাস্তবভিত্তিক ফল প্রকাশের ধারা’ বলে অভিহিত করেছেন বোর্ড কর্মকর্তারা। এর ফলে ভবিষ্যতে আরও স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য ফলাফল নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তারা।
সবার দেশ / এফএস




























