ইতালিতে ৩ দিনে বাংলাদেশিসহ ৫০০ অভিবাসনপ্রত্যাশী, দুইজনের মৃত্যু
মাত্র তিন দিনের ব্যবধানে অন্তত ৫০০ অভিবাসনপ্রত্যাশী নৌকায় চেপে ইতালির দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ লাম্পেদুসায় পৌঁছেছেন। সোমবার থেকে বুধবারের মধ্যে দশটি নৌকা এসব অভিবাসনপ্রত্যাশী বহন করে আসে। এসময় সমুদ্র থেকে উদ্ধার করা হয়েছে দুইজনের মরদেহ। দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর বরাত দিয়ে ইনফোমাইগ্রেন্টস এ তথ্য জানিয়েছে।
সোমবার রাতে ইতালির ফিন্যান্সিয়াল গার্ড আট মিটার দীর্ঘ একটি নৌকা থেকে ৪৪ জনকে উদ্ধার করে। এ নৌকা থেকেই দুইজন অভিবাসীর মরদেহ উদ্ধার হয়। নৌকাটিতে মিসর, ইরিত্রিয়া, ইথিওপিয়া, গাম্বিয়া ও আলজেরিয়ার নাগরিকরা ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, মৃতরা হাইড্রোকার্বন জনিত বিষক্রিয়ায় প্রাণ হারিয়েছেন। নৌকায় থাকা আরও তিনজনকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো হয়।
মঙ্গলবার রাতেও লাম্পেদুসায় পৌঁছায় অন্তত পাঁচটি নৌকা, যেখানে প্রায় ৩০০ জন অভিবাসী ছিলেন। তাদের মধ্যে আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, মিসর, ইরিত্রিয়া, ইথিওপিয়া ও সুদানের নাগরিকরা রয়েছেন। এদের মধ্যে ছিলেন কয়েক মাস বয়সী এক শিশু ও একজন গর্ভবতী নারী। বেশিরভাগ অভিবাসী লিবিয়ার আবু কামাশ ও তিউনিসিয়ার এল ওলগা থেকে যাত্রা করেন। তাদের প্রত্যেককে নৌযাত্রার জন্য প্রায় ১ হাজার ২০০ ইউরো করে গুনতে হয়েছে বলে জানা গেছে।
এছাড়া আরও দুটি নৌকায় ১০৬ জন অভিবাসী লাম্পেদুসায় পৌঁছান। এর মধ্যে একটি নৌকায় ছিলো বাংলাদেশ, মিসর ও সোমালিয়ার ৬৯ জন নাগরিক, অন্যটিতে ছিলেন আফগান, বাংলাদেশি, মিসরীয়, ইরিত্রিয়ান ও পাকিস্তানি ৩৭ জন যাত্রী। বুধবার প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যেও দুটি নৌকা থেকে আরও ৭৪ জনকে উদ্ধার করা হয়।
গত শনিবার ও রোববারও ১৫টি নৌকায় অন্তত ৮৪৭ জন অভিবাসী দ্বীপটিতে পৌঁছান। ফলে বর্তমানে লাম্পেদুসার একমাত্র অভিবাসী অভ্যর্থনা কেন্দ্রে অবস্থান করছে এক হাজার ৪০০ জনের বেশি মানুষ, যা সাম্প্রতিক মাসগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ।
অভ্যর্থনা কেন্দ্রটি অস্বাভাবিক চাপের মুখে পড়ায় সিসিলিতে অভিবাসীদের স্থানান্তরের প্রক্রিয়া চলছে ধীর গতিতে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ৩০০ জনকে স্থানান্তর করা হলেও এখনও এক হাজার ৪২০ জন অভিবাসী লাম্পেদুসার হটস্পটে অবস্থান করছেন।
সবার দেশ/কেএম




























