জুলাই গণহত্যায় দুই শতাধিক মামলা, প্রস্তুত ট্রাইব্যুনাল
ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার বিচার শুরু চলতি মাসেই

ছাত্র-জনতার ওপর রাষ্ট্রীয় সহিংসতার অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে চলতি মাসেই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হচ্ছে।
অভিযোগ, জুলাই-আগস্ট মাসে ছাত্র আন্দোলনে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছেন প্রায় ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি মানুষ। আহত হয়েছেন আরও কয়েক হাজার। এ হত্যাকাণ্ড ও নিপীড়নের ঘটনায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত জমা পড়েছে ৩ শতাধিক অভিযোগপত্র।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত চূড়ান্ত পর্যায়ে
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর বরাবর আগামী সোমবার (১২ মে) শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে যাচ্ছে তদন্ত সংস্থা। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর এডভোকেট গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামিম।
তিনি বলেন, আমরা সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে তদন্ত করেছি, যাতে কোনো গ্যাপ না থাকে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সব প্রক্রিয়া শেষ করে অভিযোগপত্র জমা দেয়া হবে। আশা করছি, চলতি মাসেই বিচার কার্যক্রম শুরু হবে।
অভিযোগ গঠনের পরেই বিচার শুরু
তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের পর চিফ প্রসিকিউটর আনুষ্ঠানিকভাবে চার্জ গঠন করবেন। ট্রাইব্যুনাল অভিযোগ যাচাই করে সন্তুষ্ট হলে চার্জ গঠনের নির্দেশ দেবেন, এরপরই সাক্ষ্যগ্রহণের পালা শুরু হবে।
সাবেক জেলা ও দায়রা জজ ড. শাহজাহান সাজু জানিয়েছেন, যেহেতু শেখ হাসিনা দেশে নেই, তাই অনুপস্থিতিতেই বিচার চলবে। রাষ্ট্র চাইলে তার পক্ষে একজন আইনজীবী নিয়োগ দিতে পারে।
তিনশো অভিযোগ, দুই শতাধিক মামলা, রাষ্ট্রীয় নির্দেশে সহিংসতা
অনুসন্ধান সূত্রে জানা গেছে, অধিকাংশ অভিযোগেই শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। তদন্তে উঠে এসেছে, এ হত্যাকাণ্ড ও মানবতাবিরোধী অপরাধগুলো ছিলো ‘রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত’। শেখ হাসিনা সরাসরি তার মন্ত্রিপরিষদ, পুলিশ ও অন্যান্য বাহিনীকে নির্দেশনা দিয়েছেন বলে তদন্তকারীরা মনে করছেন।
বিক্ষোভে শহীদ পরিবার, চাপ বাড়ছে ট্রাইব্যুনালে
গত মাসে বিচার বিলম্বে ক্ষুব্ধ হয়ে শহীদ পরিবারগুলো আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সামনে বিক্ষোভ করে। তারা প্রশ্ন তোলে—বিচার হবে না? তবে শেষ পর্যন্ত আলোচিত মামলার বিচার কার্যক্রম শুরুর দিকেই এগোচ্ছে পরিস্থিতি।
সবার দেশ/কেএম