রাজধানীসহ বিভিন্ন অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাত, স্থবির জনজীবন
রাজধানী ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে রাতভর ও ভোরের ভারী বর্ষণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) রাত ১২টার পর থেকে শুরু হওয়া প্রবল বৃষ্টি সোমবার সকাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকে, ফলে নগরজীবন হয়ে পড়ে বিপর্যস্ত।
ঢাকা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী জিসান হুসাইন জানান, সকালে বৃষ্টির কারণে সময়মতো বের হতে পারেননি। জরুরি প্রয়োজনে রাস্তায় বের হলেও রিকশা পাওয়া ছিল কঠিন। যে কয়েকটি রিকশা মেলে, সেগুলোর ভাড়া ছিল অতিরিক্ত।
ধানমন্ডির বাসিন্দা তানভীর হোসেন বলেন, বৃষ্টির পানিতে বিভিন্ন সড়কে হাঁটুসমান পানি জমে গেছে। ফলে গাড়ি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে ২৭ নম্বর সড়কে একাধিক গাড়ি পানিবন্দি হয়ে পড়ে।
আজিমপুরের স্কুলশিক্ষার্থী রিফাত আরা জানান, বৃষ্টির কারণে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও রিকশা পাওয়া যায়নি। সাধারণত ৩০ টাকার ভাড়া যেখানে লাগে, সেখানে সোমবার সকালে ১০০ টাকা পর্যন্ত দিতে হয়েছে। অনেক রিকশাচালক আবার যাতায়াতেই রাজি হচ্ছিলেন না।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ছয় ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকার আকাশ মেঘলা থেকে মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে এবং এ সময়ে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। একই সঙ্গে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। দক্ষিণ বা দক্ষিণপূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, সোমবার সকাল ৬টায় ঢাকার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯৬ শতাংশ। আগের দিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে, সর্বশেষ ১২০ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে—খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের বহু স্থানে এবং ঢাকা বিভাগের কিছু এলাকায় দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-একটি জায়গাতেও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম অঞ্চলে কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণের আশঙ্কা করা হচ্ছে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে, তবে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে।
সবার দেশ/এফএস




























