প্লাস্টিক বর্জ্য থেকে টেকসই পণ্য, আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেলো বাংলাদেশ
বাংলাদেশের তরুণ উদ্ভাবকদের অনুপ্রেরণামূলক উদ্যোগ হিসেবে সিপিডি ক্লাইমেট উইক ২০২৫-এ চ্যাম্পিয়ন পুরস্কার অর্জন করেছে ‘হাসিমুখ সমাজ কল্যাণ সংস্থা’ (HSKS)। তাদের পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ ‘ইকো-ক্রাফট’ প্রকল্প এ স্বীকৃতি পেয়েছে উদ্ভাবন, সামাজিক অন্তর্ভুক্তি ও টেকসই সমাধানের জন্য।
সাতটি মনোনীত প্রতিষ্ঠানের মধ্যে হাসিমুখের প্রকল্পটি সেরা হিসেবে নির্বাচিত হয় ‘A World Beyond Crisis: Climate Solutions That Work’ শীর্ষক চারদিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে।
১৮ থেকে ২১ অক্টোবর ঢাকার ব্র্যাক সেন্টারে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে Centre for Policy Dialogue (CPD), সহ-আয়োজনে ছিল ডেনমার্ক দূতাবাস ও ওয়ার্ল্ড ব্যাংক বাংলাদেশ। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় টেকসই সমাধান নিয়ে এতে অংশ নেন নীতিনির্ধারক, গবেষক, উদ্যোক্তা ও তরুণ প্রতিনিধিরা।
সমাপনী দিনে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন এবং রয়্যাল ডেনিশ দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন আন্দারস বি. কার্লসেন হাসিমুখের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি নুসরাত আকতার এবং তার দলের হাতে পুরস্কারটি তুলে দেন।
‘ইকো-ক্রাফট: Re-purposing Dry Waste for Climate Resilience in Bangladesh’ প্রকল্পের মূল বার্তা— ‘পরিষ্কার পৃথিবী, দক্ষ নারী, টেকসই ভবিষ্যৎ’।
এ উদ্যোগের মাধ্যমে ঢাকা শহরের বস্তি ও খুলনার দাকোপ অঞ্চলের জলবায়ু-প্রভাবিত নারী ও তরুণরা টেট্রা প্যাক ও প্লাস্টিক বর্জ্য পুনঃব্যবহার করে তৈরি করছেন ডায়েরি, অর্গানাইজার, গাছের টব, অলংকার বক্স, পেন হোল্ডার ও ওয়াল ডেকরের মতো আকর্ষণীয় পণ্য।
বর্জ্যকে জীবিকার সুযোগে রূপান্তর করে হাসিমুখ তৈরি করেছে একটি টেকসই সার্কুলার অর্থনীতির মডেল। প্রদর্শনীতে হাসিমুখের স্টলটি ছিলো বিশেষ আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে।
স্টল পরিদর্শন করেন অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সহ দেশি-বিদেশি অতিথিরা।
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে নুসরাত আকতার বলেন,
আমাদের দুটি চালিকা শক্তি—স্বপ্ন ও উৎসাহ। সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনাই আমাদের লক্ষ্য। ‘ইকো-ক্রাফট’ প্রকল্প সে স্বপ্নের বাস্তব রূপ, যেখানে বর্জ্য হয়ে ওঠে সৃজনশীলতার হাতিয়ার, আর সৃজনশীলতা গড়ে তোলে টেকসই ভবিষ্যৎ।
২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হাসিমুখ সমাজ কল্যাণ সংস্থা শিক্ষা, স্বাস্থ্য, দক্ষতা উন্নয়ন, পুষ্টি, এবং জরুরি ত্রাণ কার্যক্রমে কাজ করছে।
এ পর্যন্ত তারা ৩ লক্ষাধিক মানুষের জীবনমান উন্নয়নে অবদান রেখেছে, এবং জলবায়ু প্রভাবিত এলাকায় গড়ে তুলছে টেকসই উন্নয়নের দৃষ্টান্ত।
সবার দেশ/কেএম




























