জুলাই গণঅভ্যুত্থানের রায়
রাজসাক্ষী মামুনের স্বল্প সাজায় শহীদ পরিবারের অসন্তোষ
চব্বিশের জুলাই–আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় আসামি থেকে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের পাঁচ বছরের সাজা শহীদ পরিবারদের কাছে অপ্রতুল মনে হয়েছে।
শহীদ মীর মুগ্ধর বাবা মীর মোস্তাফিজুর রহমান রায় প্রকাশের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের ফাঁসির নির্দেশ দিয়েছেন। এতে সাময়িক খুশি অনুভব করা গেলেও আমরা সন্তুষ্ট নই। শহীদ পরিবারগুলোর মুখে তখনই হাসি ফুটবে, যখন গণহত্যাকারীদের ফাঁসিতে ঝুলতে দেখবো, তিনি বলেন।
শহীদ মাহমুদুর রহমান সৈকতের বোন সেমন্তী বলেন, সাবেক আইজিপি মামুন রাজসাক্ষী হওয়ায় তাকে পাঁচ বছরের সাজা দেয়া হয়েছে। তবে, এ সাজা শহীদ পরিবারদের কাছে যথেষ্ট নয়। আমরা চাই দু’জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হোক, কারণ শুধুমাত্র রায়ে আমরা সন্তুষ্ট হবো না। আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের অপরাধ অনুযায়ী তার শাস্তি যথাযথ হওয়া উচিত, তিনি বলেন।
এদিকে, ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েম বলেন, শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় হলো জুলাই বিপ্লবের বিজয়। তবে সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী তার সাজা এটি নয়। তাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা উচিত। তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কাছে রায়ের পুনর্বিবেচনারও অনুরোধ জানান।
শহীদ পরিবার ও নাগরিকরা মনে করছেন, শুধু রায়ের ঘোষণায় সন্তুষ্ট হওয়া যাবে না; আসামিদের কার্যকর শাস্তি ও বিচারই ন্যায়ের পূর্ণতা নিশ্চিত করবে।
সবার দেশ/কেএম




























