হুঁশিয়ারি পাক সেনাপ্রধানের
ভারত দুঃসাহস দেখালে কঠোর জবাব দেয়া হবে

কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার পর ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা চরমে। এর মধ্যেই ভারতের সম্ভাব্য সামরিক আগ্রাসনের জবাবে ‘দৃঢ় ও কঠোর’ প্রতিক্রিয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পাকিস্তান সেনাপ্রধান জেনারেল আসিফ মুনির।
ট্যাংকের ওপর দাঁড়িয়ে হুঁশিয়ারি
বৃহস্পতিবার (১ মে) পাঞ্জাবের ঝিলামে ‘হ্যামার স্ট্রাইক’ সামরিক মহড়া পরিদর্শনে গিয়ে মুনির দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, কোনও অস্পষ্টতা নেই—ভারতের যেকোনও সামরিক দুঃসাহসে দৃঢ়, দ্রুত ও কঠোর জবাব দেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, পাকিস্তান আঞ্চলিক স্থিতিশীলতায় বিশ্বাসী, তবে জাতীয় স্বার্থ ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কোনো ধরনের আপস করা হবে না।
পাকিস্তানি সেনাদের হাই এলার্ট
জিও নিউজ ও ডনের খবরে বলা হয়, মহড়ায় মংলা স্ট্রাইক কর্পসসহ ভারী অস্ত্র, ট্যাংক ও কামান মোতায়েন করা হয়। সেনাপ্রধান মুনির সরাসরি সেনাদের প্রশংসা করে বলেন, তাদের মনোবল ও প্রস্তুতি পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে অটুট রাখবে।
পাকিস্তান যুদ্ধ শুরু করবে না, তবে পাল্টা আঘাত দেবে—পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এদিন এক সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার বলেন, পাকিস্তান আগে থেকে যুদ্ধ শুরু করবে না। তবে ভারত যদি আগ্রাসন চালায়, আমরা শক্তভাবে জবাব দেবো।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বনেতারা সংযম দেখানোর আহ্বান জানালেও, ভারত উল্টো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কাশ্মীর ইস্যুতে উত্তেজনা ছড়াচ্ছে, যা পুরো দক্ষিণ এশিয়ার স্থিতিশীলতাকে হুমকিতে ফেলছে।
গত ২২ এপ্রিল পেহেলগামে ভয়াবহ হামলায় ২৬ জন নিহত হন। ভারত পাকিস্তানের জড়িত থাকার অভিযোগ তোলে। এরপর দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত উত্তেজনা ও কূটনৈতিক টানাপোড়েন বাড়ে। ভারত সিন্ধু চুক্তি ও সীমান্ত বন্ধের মতো পদক্ষেপ নেয়, পাল্টা পাকিস্তান সিমলা চুক্তি স্থগিত করে।
দুই দেশের কৌশলগত অবস্থান এখন এমন এক বিন্দুতে পৌঁছেছে, যেখানে একটি ভুল বোঝাবুঝিও পরিণত হতে পারে সামরিক সংঘাতে।
সবার দেশ/কেএম