শুল্ক ছাড়ে যুক্তরাষ্ট্রের আশ্বাস: বাণিজ্য উপদেষ্টা
বাংলাদেশি পণ্যের ওপর আরোপিত পাল্টা শুল্ক কমানোর আশ্বাস দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে শর্ত হিসেবে তারা বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর অগ্রগতি দেখতে চাইছে। এ বিষয়ে তিন দিনের সফরে ঢাকায় অবস্থান করছে মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধিদল।
রোববার সচিবালয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী বাণিজ্য প্রতিনিধি ব্রেন্ডেন লিঞ্চের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকের পর বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, চলমান আলোচনার অংশ হিসেবে বৈঠকে মূলত দুদেশের অ্যাগ্রিমেন্ট ফ্রেমওয়ার্ক ও কান্ট্রি স্পেসিফিক কমিটমেন্ট নিয়ে আলোচনা হয়েছে। নির্দিষ্ট কোনো সিদ্ধান্ত না হলেও বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর ভিত্তিতে শুল্ক পুনর্বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
উপদেষ্টা আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এখনো আনুষ্ঠানিক শুল্কচুক্তি হয়নি। আলোচনাগুলো চলছে চুক্তিকে চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে। কৃষিপণ্য ও জ্বালানি আমদানির মাধ্যমে ঘাটতি কমাতে পারায় ইতোমধ্যে সন্তোষজনক অগ্রগতি হয়েছে।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের তুলা আমাদের তৈরি পোশাক শিল্পের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই এ খাতে অতিরিক্ত সুবিধা আদায়ের চেষ্টা চলছে। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ঘাটতি আরও কমাতে পারলে শুল্ক ছাড় পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে।
বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান জানান, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি প্রায় ছয় বিলিয়ন ডলার। এ ঘাটতি কমাতে গম, সয়াবিন ও তুলা আমদানির বিষয়ে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। গত অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৬০০ মিলিয়ন ডলারের তুলা কেনা হয়েছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসেই সেই অঙ্ক দাঁড়িয়েছে ২৭৬ মিলিয়ন ডলার। গম আমদানিও বেড়েছে।
রাশিয়ার তুলনায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে বেশি দামে গম কেনা হচ্ছে কেন—এ প্রশ্নে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, মার্কিন গমের প্রোটিন কনটেন্ট রাশিয়ার তুলনায় ১০ থেকে ১৫ শতাংশ বেশি। এ কারণে দামের পার্থক্য হয়।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং থেকে বিমান কেনার পরিকল্পনাও রয়েছে বাংলাদেশের। এটি দীর্ঘমেয়াদে ঘাটতি কমাতে সহায়তা করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন উপদেষ্টা।
কবে শুল্ক চুক্তি স্বাক্ষর হবে, সে বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র তাদের অবস্থান পরিষ্কার করবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য সচিব।
সবার দেশ/এফও




























