নিষিদ্ধ আ.লীগ পালিয়েছে বলায় বিএনপির ৪ কর্মীকে কুপিয়ে জখম

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হওয়ার প্রসঙ্গে ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্য করায় কুমিল্লার মুরাদনগরে বিএনপির চার নেতাকর্মীর ওপর নৃশংস হামলার অভিযোগ উঠেছে নিষিদ্ধ জঙ্গি ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে।
শনিবার (১০ মে) রাতে উপজেলার নবিয়াবাদ গ্রামে ঘটে যাওয়া এ হামলায় চারজন গুরুতর আহত হন।
আহতরা হলেন—বিএনপি নেতা ও জিয়া মঞ্চের সদস্যসচিব জুয়েল মিয়া, তার ছেলে সৌরভ, একই গ্রামের কর্মী জাহিদুল এবং শাকিল। এর মধ্যে জাহিদুলের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে; তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে আইসিইউতে রাখা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ৩ মে একটি রাজনৈতিক সভার সময় সৌরভ ‘আওয়ামী লীগ পালিয়েছে’ মন্তব্য করেন। এর জেরে ছাত্রলীগ নেতা জিহাদের সঙ্গে তার তর্ক হয়। যদিও বিষয়টি সামাজিকভাবে নিষ্পত্তি হয়েছিলো বলে দাবি পরিবারটির। শনিবার রাতে ওই পুরনো ঘটনাকে কেন্দ্র করে পূর্বধইর পশ্চিম ইউনিয়নের নবিয়াবাদ মাদ্রাসার সামনে অতর্কিতে হামলা চালানো হয়।
ছুরি হাতে হামলাকারীরা সৌরভের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। তাকে বাঁচাতে গেলে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন তার বাবা জুয়েল, চাচা শাকিল এবং প্রতিবেশী জাহিদুল।
আহতদের শরীরের চোখ, পিঠ, পেট ও হাতসহ একাধিক স্থানে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে গিয়ে তাদের উদ্ধার করেন এবং প্রথমে মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, পরে কুমিল্লা মেডিকেলে পাঠানো হয়।
আহত জুয়েলের ভাই হাবীবুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, এটি সম্পূর্ণ পরিকল্পিত হামলা। আমাদের ভাইয়ের চোখ নষ্ট হয়ে গেছে। আমরা বিচার চাই।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা জিহাদসহ পাঁচজন পলাতক রয়েছেন।
বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি মাহফুজুর রহমান জানান, হামলার খবর পেয়েই পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এখনও লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ বা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
সবার দেশ/কেএম