Sobar Desh | সবার দেশ সবার দেশ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০২:২২, ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

গুলশান সড়ক অবরোধ তিতুমীর শিক্ষার্থীদের

গুলশান সড়ক অবরোধ তিতুমীর শিক্ষার্থীদের
ছবি: সবার দেশ

সরকারি তিতুমীর কলেজকে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের ঘোষণার দাবিতে এবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তারা এটির নাম দিয়েছেন, ‘বারাসাত ব্যারিকেড টু নর্থ সিটি’।

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) রাতে এ ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। ঘোষণা অনুযায়ী- শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টার মধ্যে তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা না দিলে উত্তর সিটি এলাকা অবরোধ করবেন তারা।

এদিকে শিক্ষার্থীদের গণঅনশন, বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি চলছে। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেল ৫টায় পাঁচ শিক্ষার্থীর আমরণ অনশন কর্মসূচি দিয়ে এ দফায় আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।

এরপর বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুর থেকে তারা গুলশান-মহাখালী সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। পাশাপাশি চলছে গণঅনশন কর্মসূচিও। সে হিসাবে টানা প্রায় ৫৫ ঘণ্টা অনশনে শিক্ষার্থীরা। এতে অন্তত ১০ জনের অসুস্থ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

গুলশান মোড়ে আধাঘণ্টা অবরোধ
এদিকে, দাবি আদায়ে শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে গুলশান-১ মোড়ে যান তিতুমীরের শিক্ষার্থীরা। পরে তারা সেখানে অবরোধ করেন। ফলে গুরুত্বপূর্ণ এ সড়ক তখন বন্ধ হয়ে যায়। বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে বের হওয়া গাড়িগুলোকে মোড়ের চারপাশের সড়কে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। অবরোধকারী শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘোষণার দাবিতে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন।

রাত ১০টার দিকে প্রায় আধাঘণ্টা বিক্ষোভের পর শুলশান-১ মোড় ছেড়ে দেন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা। তারা একটি মিছিল নিয়ে তিতুমীর কলেজের সামনে চলে আসেন। রাত পৌনে ১২টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গুলশান থেকে মহাখালী ও মহাখালী থেকে গুলশান অভিমুখে যাওয়ার রাস্তা অবরোধ করে তারা বিক্ষোভ করছেন।

রাতে হল থেকে বেরিয়ে আন্দোলনে ছাত্রীরা
সন্ধ্যার পর কলেজের সামনের সড়কে শুধু ছাত্রদের অবস্থান করতে দেখা যায়। তবে রাত ৯টার দিকে আবাসিক হল থেকে বেরিয়ে আসেন ছাত্রীরাও।

বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে তারা কলেজের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থানরত ছাত্রদের সঙ্গে যোগ দেন। রাতভর ছাত্রীরাও সেখানে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

ছাত্রীরা বলেন, টানা অনশনে তাদের ভাইয়েরা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। অথচ সরকারের পক্ষ থেকে ইতিবাচক কোনো ঘোষণা আসছে না। সেজন্য ছাত্রীরাও এ আন্দোলনে অংশগ্রহণ বাড়িয়ে দাবি জোরালো করতে ভূমিকা রাখছেন।

শিক্ষার্থীদের ৭ দাবি
‘তিতুমীর ঐক্য’ ব্যানারে সাত দফা দাবিতে এ আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবিগুলো হলো- 
১. তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ করতে হবে।

২. তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠন করে ২০২৪-২০২৫ সেশনের ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।

৩. শতভাগ শিক্ষার্থীর আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ নতুবা অনতিবিলম্বে শতভাগ শিক্ষার্থীর আবাসিক খরচ বহন করতে হবে। 

৪. ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ন্যূনতম দুইটি বিষয় ‘আইন’ এবং ‘জার্নালিজম’ বিষয় সংযোজন করতে হবে।

৫. একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য যোগ্যতাসম্পন্ন পিএইচডিধারী শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে। 

৬. শিক্ষার গুণগতমান শতভাগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে আসন সংখ্যা সীমিত করতে হবে।

৭. আন্তর্জাতিক মানের গবেষণাগার বিনির্মাণের লক্ষ্যে জমি ও আর্থিক বরাদ্দ নিশ্চিতকরণ করতে হবে।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে রাজধানীর সাতটি সরকারি কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়। এর মধ্যে একটি কলেজ হচ্ছে সরকারি তিতুমীর কলেজ। অধিভুক্তির পর থেকে এখন পর্যন্ত এ কলেজের একাডেমিক সব কার্যক্রম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিচালিত হয়ে আসছে।

এর আগে সরকারি তিতুমীর কলেজ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ছিল।

সবার দেশ/কেএম

শীর্ষ সংবাদ:

পাঁচ অস্ত্রসহ গ্রেফতার লিটন গাজী সম্পর্কে সব জানালো পুলিশ সুপার
আনসার ভিডিপি ব্যাংকের ৯ কোটি টাকা আত্মসাৎ, ব্যবস্থাপক গ্রেফতার
লালমনিরহাটে স্বামী হত্যা মামলায় স্ত্রী ও পরকীয়া প্রেমিকের যাবজ্জীবন
ভোলাহাটে বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে কলেজ শিক্ষকের মৃত্যু
সৌদি আরবে প্রবাসী বাংলাদেশিরা দালাল চক্রের খপ্পরে
বাংলাদেশ সীমান্তে পঁচছে ৩০ হাজার টন ভারতীয় পেঁয়াজ
সুদের টাকার জন্য নোয়াখালীতে ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেফতার-১
ইমরান খান বেঁচে আছেন, দেশ ছাড়তে চাপ: পিটিআই
হাসিনা-রেহানা-টিউলিপের প্লট দুর্নীতি মামলার রায় আজ
শুরু হলো বিজয়ের মাস
বিডিআর হত্যাকাণ্ডে ভারত জড়িত
খালেদা জিয়ার খোঁজ নিতে হাসপাতালে জামায়াত সেক্রেটারি
স্কুল ভর্তির লটারি ১১ ডিসেম্বর
বিডিআরকে দুর্বল করে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখাতেই পিলখানা হত্যাকাণ্ড
ছয় উপসচিবের দফতর পরিবর্তন