ছাত্রদলের হল কমিটি স্থগিতের আল্টিমেটাম উমামার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ১৮টি হলে ছাত্রদলের নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠনের ঘটনায় ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাস। এ কমিটি ঘোষণাকে ‘জুলাই অভ্যুত্থানের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা’ বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক মুখপাত্র উমামা ফাতেমা।
তিনি কমিটি স্থগিতের জন্য সময়সীমা বেঁধে দিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন—আজ (৮ আগষ্ট) রাতের মধ্যেই সিদ্ধান্ত না বদলালে শিক্ষার্থীরা কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবে।
২০২৪ সালের ১৭ জুলাই ঢাবির সব হলে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ হয়েছিলো। এরপর প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও হলে রাজনীতি না থাকায় একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ গড়ে উঠেছিলো। কিন্তু ছাত্রদলের নতুন কমিটি গঠনের পর সে স্থিতিশীলতা ভেঙে পড়ার আশঙ্কা করছেন অনেকেই।
ছাত্রদলের এ ঘোষণার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে উমামা ফাতেমা শুক্রবার (৮ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলেন,
গত বছর ১৬ জুলাই আবু সাঈদের শাহাদাতের পর আমরা ছাত্রলীগমুক্ত ক্যাম্পাসের স্বপ্ন দেখেছিলাম। এখন নতুন কমিটির মাধ্যমে সে স্বপ্নকেই হত্যা করা হলো।
তিনি আরও লেখেন, রাজনীতি নিষিদ্ধ ছিলো, কিন্তু এখন আবার গোপন চর্চা ও প্রকাশ্য দখলের খেলা শুরু হয়েছে। এটা শুধু গণঅভ্যুত্থানের সঙ্গে নয়, সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিশ্বাসের সঙ্গেও বেঈমানি।
এদিন ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস ও সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন হল কমিটিগুলো অনুমোদন দেন। ১৮টি হলে ঘোষিত আহ্বায়ক কমিটিতে মোট ৫৯৩ জন শিক্ষার্থী পদ পেয়েছেন।
এ ঘোষণার পর থেকেই সামাজিক মাধ্যমে এবং ক্যাম্পাসে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। অনেক শিক্ষার্থী বিষয়টিকে ছাত্র রাজনীতির পুনরুত্থান হিসেবে দেখলেও, অন্য একটি বড় অংশ একে অশনি সংকেত বলেই মনে করছেন।
বিশ্লেষকদের মতে, হলে রাজনীতি ফেরানোর উদ্যোগ রাজপথে বিএনপির উত্থানকে শক্তিশালী করলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ পরিবেশে তা নতুন সংকট ডেকে আনতে পারে।
সন্ধ্যার পরপরই ঢাবির কয়েকটি হলে দেয়াললিখন ও পোস্টারিং শুরু হওয়ায় পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়ে উঠছে। শিক্ষার্থীদের চোখ এখন আজ রাতের দিকেই—কমিটি স্থগিত হয় কিনা, নাকি আবার কোনো উত্তাল প্রতিবাদ শুরু হয়।
সবার দেশ/কেএম




























