তোলপাড় করা দাবি কংগ্রেস ও সমাজবাদী পার্টির
মহাকুম্ভে মহাবিপর্যয়! মৃত্যু হাজার মানুষের
মহাকুম্ভে মৃত্যুমিছিল নিয়ে মোদী-যোগীকে তুলোধোনা করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও। তিনি কুম্ভে ভিআইপি সংস্কৃতির অবসান হওয়া উচিত বলে মনে করেন।
ভারতের উত্তর প্রদেশের এলাহাবাদে মহাকুম্ভ মেলায় সম্প্রতি ‘পবিত্র স্নান’ করতে গিয়ে পদদলিত হয়ে বেশ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এবার এ বিপর্যয় নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য দিলেন সমাজবাদী পার্টির এমপি জয়া বচ্চন। তিনি বলেন, হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে, মৃত্য়ুর সঠিক তথ্য দেয়া হোক।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, লাশ পানিতে ভাসিয়ে দেয়া হয়েছে। মহাকুম্ভে কী হয়েছে সংসদে জানানো হোক। এটা তদন্ত হওয়া উচিত। মহাকুম্ভে ভিভিআইপি-র প্রাধান্য, গরিব মানুষের কোনও গুরুত্ব নেই। মহাকুম্ভে এতজনের প্রাণ গেলো, শুধু নজর ঘুরিয়ে দেয়ার চেষ্টা চলছে। পুরোটাই আইওয়াশ। এতো কোটি মানুষ মহাকুম্ভে আসবে কীভাবে, মিথ্যা তথ্য দেয়া হচ্ছে।
এদিন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে ফের তীব্র নিশানা করেন উত্তরপ্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব। তিনি বলেন, ১৭ ঘণ্টা লাগলো সত্য বলতে। যে ৩০ জনের মৃত্যুর কথা বলা হচ্ছে, তাও সত্য নয়। পাল্টা জবাব দিয়েছে বিজেপিও।
মহাকুম্ভে এতো বড় বিপর্যয়ের দায় কার? কার গাফিলতি? এত প্রচারের পরও কেন এমন অবব্যস্থা? যোগী সরকারের বিরুদ্ধে উঠেছে মৃতের সংখ্যা গোপন করার অভিযোগ পর্যন্ত উঠেছে! এরমধ্যেই এবার কুম্ভে মৃতদের দেহ পানিতে ভাসিয়ে দেয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ করলেন সমাজবাদী পার্টির এমপি জয়া বচ্চন।
তিনি বলেন, সব থেকে বেশি দূষিত পানি এখন কোথায়? কুম্ভে। তা নিয়ে কেউ কিছু বলছেন না। মৃতদেহ যা পানিতে ফেলে দেয়া হয়েছে তাতে পানি দূষিত হয়েছে। এ পানিই সেখানের মানুষের কাছে পৌঁছছে। এনিয়ে কেউ কিছু বলছেন না। সবার চোখে ধূলো দেয়া হচ্ছে। ভিআইপরা কুম্ভে চলে যান, স্নান করেন, বিশেষ ব্যবস্থা পান। কিন্তু যারা গরিব সাধারণ মানুষ তাদের জন্য কোনও ব্যবস্থা নেই।

কুম্ভে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্য়ুর ঘটনায় যোগী আদিত্যনাথকে তীব্র নিশানা করেন উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব। উত্তর প্রদেশের সমাজবাদী পার্টির প্রধান ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব বলেন, ভাবুন! কোটির হিসেব দিচ্ছেন। আর ওখানে যাদের প্রাণ গেছে তাদের সংখ্য়া দিতে পারছেন না তারা। তাদের (মৃতদের) সংখ্য়া দিতে পারছেন না। ইনি (যোগী আদিত্যনাথ) প্রথম মুখ্যমন্ত্রী যিনি সত্যকে স্বীকার করছেন না।
তিনি আরও বলেন, এদের ১৭ ঘণ্টা লাগলো সত্য বলতে, সংখ্যা বলতে যে ৩০ জনের কথা বলেছে, সেটা সত্য নয়। ১০০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেছে। যারা বলেছিলেন আমরা ১০০ কোটি মানুষের আসার ব্যবস্থা করেছি তারা কয়েক কোটি মানুষের সঠিকভাবে স্নানও করাতে পারলেন না। বিরোধীরা সুর চড়াচ্ছে, কিন্তু প্রশ্ন হলো, আসল তথ্য কী? পদপৃষ্ট হয়ে মৃতের সংখ্য়া ৩০, নাকি আরও বেশি? প্রকৃত তথ্য কি জানা যাবে কখনও?
এদিকে মহাকুম্ভে মৃত্যুমিছিল নিয়ে মোদী-যোগীকে তুলোধোনা করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও। তিনি কুম্ভে ভিআইপি সংস্কৃতির অবসান হওয়া উচিত বলে মনে করেন। মহাকুম্ভের পদপিষ্টের ঘটনায় ক্ষোভ উগড়ে দিলেন দেশটির প্রধান বিরোধী দলের এ নেতা। যোগী সরকারের উপর ক্ষুব্ধ অখিলেশ যাদবও। সূত্র: টিওআই ও আইই বাংলা।
সবার দেশ/কেএম




























