আরও ২০০০ ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন, আদালতে গভর্নর নিউসম
যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে লস অ্যানজেলেসের বিক্ষোভ
যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে অভিবাসনবিরোধী অভিযান ঘিরে বিক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। লস অ্যানজেলেস থেকে শুরু হওয়া এ বিক্ষোভ এখন টেক্সাসসহ আরও কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে।
এ অবস্থায় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যানজেলেস এলাকায় আরও ২০০০ ন্যাশনাল গার্ড এবং ৭০০ মেরিন সেনা মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পেন্টাগনের মুখপাত্র শন পারনেল।
তিনি জানান, ট্রাম্পের নির্দেশে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আইসিই (ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট) এর সহায়তায় নিরাপত্তা জোরদার করতে এসব সেনা মোতায়েন করছে।
এ পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যেই আইনি লড়াই শুরু হয়েছে। ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসম আদালতে অভিযোগ করেছেন, এ ধরনের মোতায়েন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার এবং রাজ্যের স্বায়ত্তশাসনের ওপর সরাসরি হস্তক্ষেপ।
এদিকে বিক্ষোভ আরও বিস্তৃত আকার নিয়েছে। লস অ্যানজেলেসের ডাউনটাউনে আইসিই-র অভিযানের পর থেকেই ব্যাপক জনসমাগম শুরু হয়। পুলিশ একে ‘অবৈধ সমাবেশ’ ঘোষণা করে কঠোর অবস্থান নেয়। সাংবাদিকদের বিক্ষোভ এলাকা থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে, পাশাপাশি বেশ কয়েকটি এলাকা সিলগালা করে দেয়া হয়।
টেক্সাসের অস্টিন ও ডালাস শহরেও বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। অস্টিনে শতাধিক বিক্ষোভকারী আইসিই অফিস ঘেরাও করে ‘নো মোর আইসিই’ স্লোগান দেন। কিছু এলাকায় ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। পুলিশ টিয়ার গ্যাস ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে।
ডালাসে মার্গারেট হান্ট হিল ব্রিজ এলাকায় প্রায় ৪০০ জন বিক্ষোভকারী শান্তিপূর্ণ অবস্থানে অংশ নেন।
লস অ্যানজেলেসের মেয়র ক্যারেন ব্যাস জানান, শুধু একদিনেই শহরের বিভিন্ন স্থানে অন্তত পাঁচটি ইমিগ্রেশন অভিযান পরিচালিত হয়েছে, এর মধ্যে একটি অভিযান হয়েছে তার নাতির স্কুলের কাছাকাছি। সান্তা আনা শহরের পুলিশ বিভাগও নিশ্চিত করেছে যে, আইসিই সেখানেও ‘এনফোর্সমেন্ট অ্যাকশন’ চালাচ্ছে।
এ পরিস্থিতিতে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স সোশ্যাল মিডিয়ায় (এক্স) পোস্ট করে জানিয়েছেন, বর্তমান প্রশাসন কোনও বিশৃঙ্খলার কাছে মাথানত করবে না এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার অবস্থান থেকে সরে আসবেন না।
ট্রাম্প প্রশাসনের এ কড়া অবস্থান যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন নীতিকে ঘিরে দেশজুড়ে গভীর রাজনৈতিক ও সামাজিক বিভাজনের চিত্র ফুটিয়ে তুলেছে। সমালোচকদের অভিযোগ, এ ধরনের অভিযান মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা ও সীমান্ত নিরাপত্তা বজায় রাখতেই এসব ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
সবার দেশ/কেএম




























