মিসরের শারম আল-শেখে ইতিহাস
ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় হামাস–ইসরায়েল শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর
মধ্যপ্রাচ্যের দীর্ঘদিনের রক্তক্ষয়ী সংঘাতের অবসানে এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হলো বিশ্ব। সোমবার (১৩ অক্টোবর) মিসরের উপকূলীয় শহর শারম আল-শেখে অনুষ্ঠিত শান্তি সম্মেলনে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে শান্তিচুক্তিতে স্বাক্ষর করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বিশ্বের নানা প্রভাবশালী নেতাদের উপস্থিতিতে এ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ছিলেন মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান, কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি এবং জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসসহ প্রায় ৩৫টি দেশের প্রতিনিধি।
দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা হামাস–ইসরায়েল যুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে শান্তির পথে এগিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার নিয়েই এ চুক্তি স্বাক্ষর হয়।
চুক্তি স্বাক্ষরের পর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, আজ আমরা শুধু একটি যুদ্ধের সমাপ্তি টানিনি, বরং মধ্যপ্রাচ্যের জন্য এক নতুন ইতিহাস রচনা করেছি। এটি সবচেয়ে বড় শান্তিচুক্তি—যা অঞ্চলে নতুন ভোর আনবে।
তবে চুক্তির বিস্তারিত তাৎক্ষণিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি। আল জাজিরা ও বিবিসি জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে যুদ্ধবিরতি, বন্দি বিনিময়, মানবিক সহায়তা প্রবাহ এবং গাজার পুনর্গঠনকে কেন্দ্র করেই এ চুক্তি গঠিত হয়েছে।
এদিকে, সূত্রগুলো বলছে, যুক্তরাষ্ট্র ও মিসরের মধ্যস্থতায় একাধিক গোপন আলোচনার পর এ চুক্তির খসড়া তৈরি হয়। চুক্তি কার্যকর হলে গাজায় ত্রাণ ও পুনর্গঠন কার্যক্রম শুরু হবে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে।
আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা একে মধ্যপ্রাচ্যের কূটনীতিতে এক ‘নতুন অধ্যায়’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। তবে অনেকের মতে, এ শান্তিচুক্তি টিকিয়ে রাখতে দুই পক্ষেরই দীর্ঘমেয়াদি রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও আস্থার পরিবেশ গড়ে তোলা এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
ট্রাম্প সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দৃঢ় কণ্ঠে বলেন, এ চুক্তি টিকবেই—আমরা নিশ্চিত করবো, এটি কেবল কাগজে নয়, বাস্তবেও শান্তি বয়ে আনবে।
তথ্যসূত্র : আল জাজিরা ও বিবিসি




























