Sobar Desh | সবার দেশ আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ০০:০৪, ২৬ অক্টোবর ২০২৫

বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকার

আবারও হোয়াইট হাউসের পথে? কি ইঙ্গিত কমালা হ্যারিসের?

আবারও হোয়াইট হাউসের পথে? কি ইঙ্গিত কমালা হ্যারিসের?
ছবি: সংগৃহীত

বিবিসিকে দেয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ভবিষ্যতে আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন। ‘একদিন অবশ্যই কোনও নারী যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হবেন’— এমন মন্তব্য করে তিনি যখন হাসিমুখে বলেন ‘সম্ভবত সে নারী আমি-ই’, তখন স্পষ্ট হয়ে যায়—হ্যারিস এখনও রাজনীতির মঞ্চ ছাড়েননি।

২০২৪ সালের নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে পরাজয়ের এক বছর পর হ্যারিস আবারও হোয়াইট হাউসের পথে ফেরার সম্ভাবনা উসকে দিলেন। ট্রাম্পকে তিনি ‘স্বৈরাচারী’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে বলেন, নির্বাচনী প্রচারণায় ট্রাম্প সম্পর্কে তার দেয়া সতর্কবার্তাগুলো একে একে সত্য প্রমাণিত হচ্ছে।

বিবিসির ‘সানডে উইথ লরা কুয়েন্সবার্গ’ অনুষ্ঠানে হ্যারিস বলেন, আমার দিদি-নাতনিরা জীবদ্দশায় একজন নারী প্রেসিডেন্টকে দেখবে। প্রশ্ন ছিলো, সে নারী কি তিনি হবেন? হ্যারিস হেসে বলেন, সম্ভবত। যদিও তিনি এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থিতা ঘোষণা করেননি, কিন্তু সাক্ষাৎকারে তার আত্মবিশ্বাস ও শরীরী ভাষায় ছিলো স্পষ্ট রাজনৈতিক ইঙ্গিত।

তিনি বলেন, আমি এখনও থামিনি। জনসেবা আমার জীবনের অংশ—এটা আমার রক্তে মিশে আছে।

সাম্প্রতিক জরিপে হ্যারিসকে ডেমোক্র্যাটিক মনোনয়নের দৌড়ে পিছিয়ে রাখা হয়েছে— এমনকি হলিউড তারকা ডোয়াইন ‘দ্য রক’ জনসনের নিচেও। তবে হ্যারিস তা নিয়ে বিচলিত নন। আমি যদি জরিপ শুনতাম, তাহলে প্রথমবারও প্রার্থী হতাম না, দ্বিতীয়বারও না। আর নিশ্চয়ই আজ এখানে বসে থাকতাম না, বলেন তিনি।

ট্রাম্প সম্পর্কে নিজের পূর্বাভাসের সত্যতা তুলে ধরে হ্যারিস অভিযোগ করেন, ট্রাম্প বিচার বিভাগকে রাজনৈতিক অস্ত্রে পরিণত করেছেন। তিনি আরও বলেন, কিছু ব্যবসায়ী ও কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান ট্রাম্পের চাপে নতি স্বীকার করেছে— অনেকে ক্ষমতার কাছাকাছি থাকতে চেয়েছেন, কোনও একত্রীকরণ অনুমোদন পেতে বা তদন্ত এড়াতে— তাই তারা এক স্বৈরশাসকের পায়ে নতজানু হয়েছেন।

অন্যদিকে হোয়াইট হাউস হ্যারিসের মন্তব্যকে কটাক্ষ করেছে। প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র অ্যাবিগেইল জ্যাকসন বলেছেন, যখন কমালা হ্যারিস বিপুল ব্যবধানে নির্বাচনে হেরে গেছেন, তখন জনগণ স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে— তারা তার মিথ্যা বক্তব্যে আর বিশ্বাস করে না। হয়তো তিনি তা বুঝেছেন বলেই এখন বিদেশি মাধ্যমে ক্ষোভ ঝাড়ছেন।

সম্প্রতি হ্যারিস প্রকাশ করেছেন তার নির্বাচনি স্মৃতিকথা ‘১০৭ দিন’, যেখানে তিনি তুলে ধরেছেন জো বাইডেনের সরে দাঁড়ানোর পর মাত্র ১০৭ দিনে কেমন তীব্র প্রচারণা চালিয়েছিলেন। বই প্রচারণার অংশ হিসেবে তিনি বর্তমানে যুক্তরাজ্যে সফরে আছেন।

বিবিসির সঙ্গে সাক্ষাৎকারে বাইডেনকে নিয়ে প্রশ্ন করা হলে হ্যারিস বলেন, বাইডেন যদি আরও আগে সরে দাঁড়াতেন, কী ঘটতো—তা আমরা কখনোই জানতে পারবো না। সেই ‘যদি’-এর গল্প হয়তো আমেরিকার ইতিহাস বদলে দিতে পারতো।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, ডেমোক্র্যাটিক পার্টি এখন আত্মসমালোচনার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। অনেকেই মনে করেন, হ্যারিসের প্রচারণা দেরিতে শুরু হয়েছিলো, যার ফলে সাধারণ মানুষের কাছে তার বার্তা পুরোপুরি পৌঁছায়নি। বাসস্থান, শিশুসেবা ও জীবনযাত্রার ব্যয় ইস্যুতে তিনি আরও শক্ত অবস্থান নিতে পারতেন।

তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের চোখে হ্যারিসের সাম্প্রতিক আচরণ, বক্তব্য ও আত্মবিশ্বাস ইঙ্গিত দিচ্ছে— হয়তো এটাই তার নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনি যাত্রার সূচনা।

সূত্র: বিবিসি

সবার দেশ/কেএম

শীর্ষ সংবাদ:

পাঁচ অস্ত্রসহ গ্রেফতার লিটন গাজী সম্পর্কে সব জানালো পুলিশ সুপার
আনসার ভিডিপি ব্যাংকের ৯ কোটি টাকা আত্মসাৎ, ব্যবস্থাপক গ্রেফতার
লালমনিরহাটে স্বামী হত্যা মামলায় স্ত্রী ও পরকীয়া প্রেমিকের যাবজ্জীবন
ভোলাহাটে বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে কলেজ শিক্ষকের মৃত্যু
সৌদি আরবে প্রবাসী বাংলাদেশিরা দালাল চক্রের খপ্পরে
বাংলাদেশ সীমান্তে পঁচছে ৩০ হাজার টন ভারতীয় পেঁয়াজ
সুদের টাকার জন্য নোয়াখালীতে ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেফতার-১
ইমরান খান বেঁচে আছেন, দেশ ছাড়তে চাপ: পিটিআই
হাসিনা-রেহানা-টিউলিপের প্লট দুর্নীতি মামলার রায় আজ
শুরু হলো বিজয়ের মাস
বিডিআর হত্যাকাণ্ডে ভারত জড়িত
খালেদা জিয়ার খোঁজ নিতে হাসপাতালে জামায়াত সেক্রেটারি
স্কুল ভর্তির লটারি ১১ ডিসেম্বর
বিডিআরকে দুর্বল করে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখাতেই পিলখানা হত্যাকাণ্ড
ছয় উপসচিবের দফতর পরিবর্তন