উপস্থিত ছিলেন তিন বাহিনীর প্রধান
আইনশৃঙ্খলা নিয়ে যমুনায় জরুরি বৈঠক

দেশের সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চপর্যায়ের জরুরি বৈঠক হয়েছে রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায়। মঙ্গলবার (২০ মে) অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় রাজধানীসহ সারা দেশে স্থিতিশীল নিরাপত্তা পরিস্থিতি বজায় রাখার ওপর সরকারপ্রধান জোর দেন বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
কারা ছিলেন বৈঠকে?
এ গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে দেশের শীর্ষ নিরাপত্তা ও প্রশাসনিক ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন:
- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা: লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)
- পররাষ্ট্র উপদেষ্টা: মো. তৌহিদ হোসেন
- জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা: ড. খলিলুর রহমান
- সেনাপ্রধান: জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান
- নৌবাহিনী প্রধান: এডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান
- বিমান বাহিনী প্রধান: এয়ার মার্শাল হাসান মাহমুদ খান
এছাড়াও ছিলেন বিভিন্ন সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তা ও বিশেষ নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা।
বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে?
- সারা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়েছে।
- সাম্প্রতিক মিছিল, অবরোধ, হত্যাকাণ্ড ও রাজনৈতিক উত্তেজনা নিয়ে রিপোর্ট উপস্থাপন করেন নিরাপত্তা কর্মকর্তারা।
- রাজধানীতে চলমান আন্দোলন ও অবরোধে জনগণের ভোগান্তি, এবং রাষ্ট্রীয় স্থিতিশীলতায় কী প্রভাব পড়ছে—সেসব বিষয় নিয়ে গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা হয়।
প্রধান উপদেষ্টার বার্তা:
- রাজধানী ও সারা দেশে স্থিতিশীল নিরাপত্তা পরিস্থিতি বজায় রাখতে হবে—এমন নির্দেশনা দেন তিনি।
- কিছু ঘটনার দ্রুত ও পেশাদার হস্তক্ষেপের জন্য নিরাপত্তা বাহিনীর প্রশংসা করেন ড. ইউনূস।
- ভবিষ্যতের সম্ভাব্য উত্তেজনা ও বিশৃঙ্খলা মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেন।
কেন এ বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ?
সম্প্রতি:
- গার্মেন্ট শ্রমিকদের বেতন আন্দোলন
- সাম্য হত্যার প্রতিবাদে ছাত্রদলের হুমকি
- ইশরাক ও রাজউক ঘেরাও ইস্যু
এসব কারণে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। এমন সময়ে তিন বাহিনীর প্রধানসহ শীর্ষ পর্যায়ের এ বৈঠক রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা দিক থেকে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।
সরকার এখন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আর কোনো ঝুঁকি নিতে চাচ্ছে না। যেকোনো মূল্যে স্থিতিশীলতা বজায় রাখা হবে—এ বার্তাই এসেছে যমুনার এ জরুরি বৈঠক থেকে।
সবার দেশ/কেএম