দুবাইতে রিসোর্ট ও সাড়ে তিনশ বিঘা জমি
নজরুল ইসলাম মজুমদারের অঘোষিত সাম্রাজ্যের খোঁজ
নাসা গ্রুপের মালিক নজরুল ইসলাম মজুমদার ও তার পরিবারের নামে দেশ-বিদেশে বিপুল সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের এক বৈঠকে এসব সম্পদের বিস্তারিত তালিকা উপস্থাপন করা হয়।
সভায় জানানো হয়, নজরুল, তার স্ত্রী, ছেলে ও মেয়ের নামে প্রায় সাড়ে তিনশ বিঘা জমি, দুবাইতে রিসোর্ট, খেজুর বাগান, রাজধানীতে প্লট, মার্কেট ও একাধিক দালানকোঠার খোঁজ মিলেছে।
মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে নজরুল পরিবারের নামে থাকা উল্লেখযোগ্য সম্পদের তালিকা হলো—
- গুলশান-১ এ ১২ তলা বিশিষ্ট দুটি ব্যাংক ভবন
- ৩০০ ফিট এলাকায় ল্যান্ডস্কেপিং করা ২ বিঘা জমি
- জলসিঁড়ি সেক্টর-১৭ তে কাঁচা মার্কেট
- কন্যা আনিকা মজুমদারের নামে একাধিক প্লটসহ নানা সম্পদ
- মেঘনাঘাটে ওয়ারহাউজ ও পেট্রোল পাম্প
- ঠাকুরগাঁওয়ে প্রায় ৩০০ বিঘা জমি
- গুলশানে শান্ত মারিয়মের পাশে ১০ বিঘা জমি
- দুবাইতে খেজুর বাগান ও রিসোর্ট
- চাঁদপুরে বিশাল মার্কেট
- নিকেতনে ১০ বিঘা জমি
- হাতিরঝিল প্রজেক্টে দুটি খেজুর ডিপো, যেখানে ১০–১২ কোটি টাকার খেজুর মজুদ
- মহাখালী ডিওএইচএস মসজিদের পাশে ১০ কাঠা জমির উপর বাড়ি
- এক্সিম ব্যাংকের ২৪ কোটি টাকার প্রভিডেন্ট ফান্ড
- গুলশান-১ এর দখলকৃত বাড়ি (যেখান থেকে গ্রেফতার হয়েছিলেন)
- গুলশানে পারটেক্স থেকে কেনা ১ বিঘা জমি
- পূর্বাচলে পরিবারের নামে ২০টি প্লট, যার মধ্যে দুদক ৪-৫টি ক্রোক করেছে
- পূর্বাচলে ২.৫ বিঘা জমির উপর হাসপাতাল ও নার্সিং ইনস্টিটিউট
- জলসিড়ি সেক্টর-১৭ তে চেয়ারম্যানের নামে ২.৫ বিঘা জমিতে ১০০ কোটি টাকার মার্কেট
- জলসিড়ি-২ নং সেক্টরে ৮টি প্লট, যার মধ্যে ২টি কর্ণার প্লট
- মসুল (জলসিঁড়ি) এলাকায় পুলিশ হাউজিংয়ের বিপরীতে ৩০–৪০ বিঘা জমি
- নেভির পাশে ৩০০ ফিট এলাকায় আরও ৩০–৪০ বিঘা জমি, যেখানে চিড়িয়াখানা, মসজিদ ও গেস্ট হাউজ নির্মাণ
- বিজিএমইএ ভবনের উত্তরে দিয়াবাড়ীতে ৪.৫ বিঘা জমিতে সুইমিং পুল, মসজিদ ও গেস্ট হাউজ, আনুমানিক মূল্য ৪০০ কোটি টাকা
- উত্তরা মাসকট প্লাজার পাশে ফার্নিচারের দোকান ও সোনারগাঁ জনপদে একটি প্লট
- মহাখালী বাসস্ট্যান্ডের পাশে তেজগাঁও ইন্ডাস্ট্রিয়াল এলাকায় নাসা হেড অফিস (৩ বিঘা জমির উপর)
- তেজগাঁও আড়ংয়ের বিপরীতে ৭ বিঘা জমি
- আড়ং সংলগ্ন গাজী গ্রুপ থেকে কেনা ৭ বিঘা জমি, যা মর্টগেজ হতে পারে
- মেঘনাঘাটে আরও ১০ বিঘা জমি
সভায় উপস্থিত ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, বাণিজ্য উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজ, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব, অর্থ সচিব, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব, বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধান, বিজিএমইএ সভাপতি এবং বাংলাদেশ ব্যাংক ও শাহজালাল ইসলামি ব্যাংকের প্রতিনিধিরা।
এ বিপুল সম্পদের খোঁজ মেলার পর নজরুল ইসলাম মজুমদার পরিবারের বিরুদ্ধে আরও কঠোর তদন্ত শুরু হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সবার দেশ/কেএম




























