পরীক্ষার্থী প্রায় ১৯ লাখ ৩০ হাজার
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু
সারা দেশের লাখো শিক্ষার্থীর অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে শুরু হয়েছে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা। আজ বুধবার (১০ এপ্রিল) বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষার মাধ্যমে শুরু হলো এ বছরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পাবলিক পরীক্ষা। চলবে আগামী ১৩ মে পর্যন্ত।
সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত প্রতিদিন তত্ত্বীয় পরীক্ষা নেয়া হবে। আর ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১৫ থেকে ২২ মে পর্যন্ত।
১৯ লাখের বেশি পরীক্ষার্থী
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, এবার মোট পরীক্ষার্থী ১৯ লাখ ২৮ হাজার ৯৭০ জন। সারা দেশে ৩ হাজার ৭১৫টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এ পরীক্ষা। এর মধ্যে ছাত্র ৯ লাখ ৬১ হাজার ২৩১ জন এবং ছাত্রী ৯ লাখ ৬৭ হাজার ৭৩৯ জন।
নির্দেশনার কড়াকড়ি
সুষ্ঠু ও নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষা বোর্ড ১৪টি নির্দেশনা জারি করেছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো—পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রে উপস্থিত থাকা, বহুনির্বাচনি ও সৃজনশীল উভয় পরীক্ষার মধ্যে কোনো বিরতি না রাখা, ওএমআর ফর্ম সঠিকভাবে পূরণ করা এবং মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা।
নির্দেশনাগুলোর মধ্যে রয়েছে—
- পরীক্ষার্থীদের নির্ধারিত সময়ের কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রে পৌঁছাতে হবে।
- বহুনির্বাচনি অংশের পরপরই সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে, কোনো বিরতি দেওয়া হবে না।
- পরীক্ষার সময় শুধুমাত্র সাধারণ ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে।
- পরীক্ষার্থী শুধু তাদের নিবন্ধিত বিষয়ের পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে।
- কেউ নিজের বিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিতে পারবে না—স্থানান্তরের মাধ্যমে আসন বিন্যাস করা হয়েছে।
- সৃজনশীল, বহুনির্বাচনি ও ব্যবহারিক—তিনটি অংশেই পৃথকভাবে পাস করতে হবে।
- পরীক্ষার ফল প্রকাশের সাত দিনের মধ্যে পুনঃনিরীক্ষার আবেদন করা যাবে।
শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পরীক্ষা আয়োজনের প্রস্তুতি
শিক্ষা বোর্ডগুলো জানিয়েছে, প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধ, কেন্দ্রে মোবাইল ফোনের ব্যবহার নিষিদ্ধ এবং ভুয়া প্রশ্নের গুজব ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নজরদারি করছে। কেন্দ্র সচিব ছাড়া কেউ মোবাইল ফোন আনতে পারবেন না।
উল্লেখযোগ্য তথ্য
- সবচেয়ে বেশি পরীক্ষার্থী ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে।
- অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রীর সংখ্যা বেশি
- বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত সময় ও বিশেষ সহায়তা নিশ্চিত করা হয়েছে।
- অনলাইনে ব্যবহারিক নম্বর ও ধারাবাহিক মূল্যায়নের তথ্য আপলোডের নির্দেশ দিয়েছে বোর্ড।
দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের শিক্ষা যাত্রার একটি বড় ধাপ হিসেবে বিবেচিত এ পরীক্ষা যাতে নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়, তা নিশ্চিত করতে সরকার ও বোর্ড কর্তৃপক্ষ সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করেছে।
সবার দেশ/কেএম




























