ডাকসু নির্বাচনের জন্য ১০ সদস্যের কমিশন গঠন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ১০ সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে। সোমবার (১৬ জুন) বিকাল ৫টায় অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের নিয়মিত সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
ঢাবির জনসংযোগ দপ্তরের উপ-পরিচালক ফররুখ মাহমুদের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ডাকসু নির্বাচনের প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান ডাকসু সংবিধানের ৮ (এফ) ধারার আওতায় তাঁকে এই দায়িত্ব প্রদান করেন, যা সিন্ডিকেট সভায় অনুমোদিত হয়।
প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তাকে সহায়তার জন্য আরও নয়জন রিটার্নিং কর্মকর্তাকে কমিশনের সদস্য হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তারা হলেন—
- অধ্যাপক ড. এ এস এম মহিউদ্দিন (মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগ),
- অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী (সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট),
- অধ্যাপক ড. কাজী মোস্তাক গাউসুল হক (তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগ),
- অধ্যাপক ড. কাজী মারুফুল ইসলাম (উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগ),
- অধ্যাপক ড. নাসরিন সুলতানা (স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউট),
- অধ্যাপক ড. মো. শহিদুল ইসলাম (ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগ),
- অধ্যাপক ড. তারিক মনজুর (বাংলা বিভাগ),
- অধ্যাপক ড. এস এম শামীম রেজা (গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ)
- এবং সহযোগী অধ্যাপক শারমীন কবীর (শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট)।
এ নির্বাচন কমিশন উপাচার্যের সঙ্গে পরামর্শক্রমে ডাকসু নির্বাচনের পরবর্তী কার্যক্রম নির্ধারণ করবে এবং সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া পরিচালনা করবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে ডাকসু নির্বাচনে সাধারণত ৬ সদস্যবিশিষ্ট কমিশন থাকলেও এবার সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে ১০ জনে উন্নীত করা হয়েছে। প্রশাসনের ভাষ্য অনুযায়ী, নির্বাচন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা, গ্রহণযোগ্যতা এবং অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতেই এ পরিবর্তন আনা হয়েছে।
এদিকে, সোমবার দুপুরে ডাকসু নির্বাচনের নির্দিষ্ট সময়সীমা তথা তফসিল ঘোষণার দাবিতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীদের একটি অংশ। কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা।
তারা বলেন, শুধু কমিশন গঠনে নির্বাচন এগোয় না, বরং সময় নির্ধারণ ও তফসিল ঘোষণাই এখন জরুরি। নির্বাচন কমিশন নিয়ে নানা ধরনের বাধা আসতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তারা। তাই তফসিল ঘোষিত না হওয়া পর্যন্ত তাদের অবস্থান চলবে।
ঢাবির প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. সাইফুদ্দিন আহমদ বলেন, সোমবার ৫টায় সিন্ডিকেট সভায় ডাকসু নির্বাচন কমিশন গঠন অনুমোদিত হয়েছে। নির্বাচন সংক্রান্ত পরবর্তী সব আনুষ্ঠানিকতা এ কমিশনই পরিচালনা করবে।
প্রসঙ্গত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শত বছরের ইতিহাসে ডাকসু নির্বাচন হয়েছে মোট ৩৭ বার। এর মধ্যে ২৯ বারই হয়েছে ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমলে। অথচ স্বাধীন বাংলাদেশে গত ৫৩ বছরে মাত্র ৮ বার ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সর্বশেষ ডাকসু নির্বাচন হয়েছিল ২০১৯ সালে, দীর্ঘ ২৮ বছর পর।
সবার দেশ/কেএম




























