ইসরায়েলি হামলার প্রতিক্রিয়া
প্রতিশোধের লাল পতাকা মসজিদে উড়ালো ইরান
ইসরায়েলি হামলায় শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা ও বিজ্ঞানীর নিহত হওয়ার ঘটনায় প্রতিশোধের বার্তা হিসেবে ‘লাল পতাকা’ উত্তোলন করেছে ইরান। শুক্রবার (১৩ জুন) জুমার নামাজের পর দেশটির পবিত্র কুম শহরের জামকারান মসজিদের চূড়ায় এ প্রতীকী পতাকা উত্তোলন করা হয়।
ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত ফার্স নিউজ এজেন্সি প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, ‘ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক রাজধানী’ হিসেবে পরিচিত কুমের জামকারান মসজিদে শোক ও প্রতিশোধের বার্তা হিসেবে উড়ছে লাল পতাকা। শিয়া মুসলিমদের কাছে এ পতাকা চরম প্রতিশোধের প্রতীক হিসেবে পরিচিত, যা সাধারণত কারবালার যুদ্ধ ও ইমাম হোসেন (আ.)-এর শাহাদাত স্মরণে মহররম মাসে উত্তোলন করা হয়ে থাকে।
কিন্তু মহররম মাসের বাইরে এ পতাকা উত্তোলন অত্যন্ত বিরল ও তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। এটি ইঙ্গিত দেয়, ইরান এবার কোনও ‘সাধারণ প্রতিক্রিয়া’ নয়, বরং সরাসরি প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে।
তেহরানভিত্তিক তাসনিম সংবাদ সংস্থা প্রকাশিত অপর এক ভিডিওতে দেখা যায়, জামকারান মসজিদের সামনে জড়ো হওয়া বিক্ষুব্ধ জনতা ইসরায়েলবিরোধী স্লোগান দিচ্ছেন এবং ইরানের জাতীয় পতাকা হাতে বিক্ষোভ করছেন।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলায় ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (IRGC) ও সশস্ত্র বাহিনীর শীর্ষ নেতৃত্ব নিহত হওয়ার প্রেক্ষাপটে সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির নির্দেশেই এ পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। এটি সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণা না হলেও যুদ্ধ-সমতুল বার্তা বহন করে।
উল্লেখ্য, কুম শহর ইরানের অন্যতম পবিত্র ও প্রভাবশালী ধর্মীয় নগরী, যা রাজধানী তেহরান থেকে প্রায় ১৪০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত। এ শহরে লাল পতাকা উত্তোলনের অর্থ—জাতীয় ও ধর্মীয়ভাবে প্রতিশোধের মনোভাব এখন শীর্ষে পৌঁছেছে।
মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে উত্তেজনা চরমে, পরিস্থিতি যেকোনো মুহূর্তে রূপ নিতে পারে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধে।
সবার দেশ/কেএম




























