থাই-মালয়েশিয়া সীমান্তে নৌকাডুবে ১৩ রোহিঙ্গা নিহত
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডের সীমান্ত উপকূলে অভিবাসী বহনকারী একটি নৌকা ডুবে অন্তত ১৩ রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। উদ্ধার করা হয়েছে আরও ১৩ জনকে। বাকি যাত্রীদের খোঁজে তৎপরতা চালাচ্ছে উদ্ধারকারী দল।
আনাদুলু এজেন্সি জানিয়েছে, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নিয়ে নৌকাটি রওনা হয়েছিলো প্রায় ৩০০ জনের একটি দলের অংশ হিসেবে। মাঝপথে যাত্রীদের তিনটি ছোট নৌকায় ভাগ করে দেয়া হয়। রোববার এদের মধ্যে একটি নৌকা মালয়েশিয়া-থাইল্যান্ড জলসীমায় ডুবে যায়। বাকি দুই নৌকার অবস্থাও এখনও অজানা।
মালয়েশিয়ার সরকারি বার্তা সংস্থা বার্নামা জানিয়েছে, দেশটির কর্তৃপক্ষ সাতজনের লাশ উদ্ধার করেছে। থাই কর্মকর্তারা আরও ছয়টি মরদেহ উদ্ধার করেছেন। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩ জনে।
মালয়েশিয়ার মেরিটাইম ফার্স্ট অ্যাডমিরাল রোমলি মুস্তাফা জানান, সমুদ্রের স্রোত এখন মালয়েশিয়ার জলসীমার দিকে বইছে, তাই আরও লাশ ভেসে আসার আশঙ্কা রয়েছে। আমরা সন্ধান অভিযান অব্যাহত রেখেছি।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (UNHCR) বলছে, গত এক দশকে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের অনেকেই নৌকায় করে মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় পৌঁছানোর চেষ্টা করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন।
মিয়ানমারের মুসলিম রোহিঙ্গারা দীর্ঘদিন ধরে নির্যাতন, বৈষম্য ও রাষ্ট্রহীনতার শিকার। ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে দেশটিতে গৃহযুদ্ধ ও জাতিগত সহিংসতা আরও তীব্র হয়েছে, যা রোহিঙ্গা সংকটকে নতুন উচ্চতায় ঠেলে দিয়েছে।
সবার দেশ/কেএম




























