চীনে আবাসিক ভবনে আগুনে ১২ জনের মৃত্যু
দক্ষিণ চীনের গুয়াংডং প্রদেশের শান্তো শহরে নতুন করে আরেকটি ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারিয়েছে ১২ জন। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) রাত ৯টা ২০ মিনিটের দিকে শহরের একটি চারতলা আবাসিক ভবনে আগুন লাগে—রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া এ তথ্য জানিয়েছে।
আগুন লাগার প্রায় ৪০ মিনিট পর নিয়ন্ত্রণে আসে, কিন্তু ততক্ষণে দগ্ধ হয়ে মারা যান অন্তত বারো জন বাসিন্দা। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে স্থানীয় কর্মকর্তারা সতর্ক করেছেন।
ঘটনার প্রকৃত কারণ এখনো পরিষ্কার নয়। দমকল বিভাগ ও স্থানীয় প্রশাসন যৌথভাবে তদন্ত শুরু করেছে। প্রাথমিক ধারণা, ভবনের নীচতলায় জমে থাকা দাহ্য পদার্থ বা বৈদ্যুতিক ত্রুটি থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।
এই দুর্ঘটনা এমন সময়ে ঘটলো, যখন মাত্র দিন দুয়েক আগেই হংকংয়ের তাই পো এলাকায় কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা ১৬০–এ পৌঁছেছে। হংকংয়ের সে ট্র্যাজেডি মূল ভূখণ্ড চীনকে গভীরভাবে নাড়া দিয়েছে। ভয়াবহতার পরপরই বেইজিং ভবন নিরাপত্তা নিশ্চিতে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছিলো। এরই ধারাবাহিকতায় দেশজুড়ে বহুতল ভবনের অগ্নিনির্বাপণ সুবিধা ও ঝুঁকি মূল্যায়ন শুরু করা হয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, সাম্প্রতিক একের পর এক অগ্নিকাণ্ড চীনের আবাসন খাতে দীর্ঘদিনের অব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তা মানদণ্ডের ঘাটতিকে আবারও সামনে এনে দিয়েছে। গত এপ্রিলেই হেবেই প্রদেশের একটি নার্সিংহোমে আগুন লেগে ২০ জন বয়স্ক মানুষ প্রাণ হারান। কয়েক সপ্তাহ পর উত্তর-পূর্বাঞ্চলের এক রেস্তোরাঁর আগুনে মারা যান আরও ২২ জন।
চীনের শীর্ষ নেতৃত্ব এখন নিরাপত্তা মানদণ্ড পুনর্গঠনের ওপর গুরুত্বারোপ করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দ্রুত সংস্কার না হলে ভবিষ্যতে এমন বিপর্যয় আরও বাড়তে পারে।
সবার দেশ/কেএম




























