Header Advertisement

Sobar Desh | সবার দেশ সবার দেশ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০০:২৬, ১৪ মে ২০২৫

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রো-ভিসি ও কোষাধ্যক্ষকে অব্যাহতি

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রো-ভিসি ও কোষাধ্যক্ষকে অব্যাহতি
অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিন, অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী ও অধ্যাপক ড. মো. মামুন অর রশিদ। ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘদিনের ছাত্রআন্দোলন, শিক্ষকদের একাত্মতা এবং ইউজিসির তদন্ত প্রতিবেদন—সব মিলিয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শীর্ষ তিন প্রশাসনিক পদে রদবদল এনেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (১৩ মে) রাতে প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিন, প্রো-ভিসি ও কোষাধ্যক্ষকে দায়িত্বমুক্ত করা হয়েছে।

চলমান সংকট ও প্রশাসনিক অনিয়মের অভিযোগের মুখে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর এবং কোষাধ্যক্ষকে অব্যাহতি দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার রাতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক সরকারি প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে ৬ মে ইউজিসি উপাচার্যের বিরুদ্ধে একাধিক বিধি লঙ্ঘন ও প্রশাসনিক অনিয়মের অভিযোগ এনে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অনুমোদন ছাড়া ‘পিএ-টু-ডিসি’ পদে এক বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হয়েছে, যা বিশ্ববিদ্যালয় আইনের পরিপন্থি।

এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের অনুমোদন ছাড়া রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলামের পিআরএল (অবসরের পূর্ব ছুটি) স্থগিত করে তাকে পুনর্বহাল করা হয়। আরও বিতর্কিতভাবে উপাচার্য নিজেই রেজিস্ট্রারের অতিরিক্ত দায়িত্ব গ্রহণ করেন, যা ‘বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০৬’-এর ১১ ধারার সরাসরি লঙ্ঘন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, উপাচার্যের প্রশাসনিক দক্ষতায় ঘাটতি রয়েছে এবং বিশ্ববিদ্যালয় আইনের যথাযথ প্রয়োগে তিনি সচেতন নন।

উপাচার্যের নানা অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে আন্দোলনে ছিলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। প্রশাসনিক ভবনে বিক্ষোভ, ভিসির বাসভবনে তালা লাগানো এবং টানা অবস্থান কর্মসূচির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের অপসারণ দাবি করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতিও আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা, প্রশাসনিক স্বচ্ছতা এবং ন্যায্য নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের আন্দোলনের পাশাপাশি ইউজিসির তদন্ত প্রতিবেদন প্রশাসনিক গাফিলতির দিকটি উন্মোচন করেছে। ফলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ও আর সময় নষ্ট না করে এ তিন শীর্ষ কর্মকর্তাকে সরিয়ে দিলো।

সবার দেশ/কেএম

সম্পর্কিত বিষয়: