৪৩তম বিসিএসের যোগ্য প্রার্থীদের মধ্যে থেকে
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১১১ প্রধান শিক্ষক নিয়োগ
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে অস্থায়ী ভিত্তিতে ১১১ জনকে নিয়োগ দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। বুধবার (১৫ অক্টোবর) মন্ত্রণালয়ের বিদ্যালয়-২ শাখা থেকে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপনটি জারি করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ডা. ফাহিম ইকবাল জাগীরদার। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও পদ স্বল্পতার কারণে ক্যাডার পদে স্থান না পাওয়া প্রার্থীদের মধ্য থেকে এ নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ২০১৪ সালের একটি স্মারকের ভিত্তিতে অনুমোদিত এ নিয়োগে প্রার্থীদের দ্বিতীয় শ্রেণির নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বেতন নির্ধারণ করা হয়েছে সরকারি বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী গ্রেড-১২ (১১,৩০০–২৭,৩০০ টাকা) স্কেলে।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, নিয়োগপ্রাপ্তদের প্রথম দুই বছর শিক্ষানবিশ হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। এ সময়ে কেউ অযোগ্য বিবেচিত হলে কোনো কারণ দর্শানো ছাড়াই চাকরি থেকে অপসারণ করা যাবে। শিক্ষানবিশকাল সন্তোষজনকভাবে শেষ হলে বিধি অনুযায়ী চাকরি স্থায়ী করা হবে।
এছাড়া, নিয়োগপ্রাপ্তদের মেধাতালিকা অনুযায়ী জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ করা হবে। কেউ বাংলাদেশের নাগরিক নন এমন ব্যক্তির সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলে বা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হলে নিয়োগ স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হবে। চাকরি সরকারের বিদ্যমান বিধি-বিধান অনুযায়ী পরিচালিত হবে এবং ভবিষ্যতে প্রণীত নতুন নীতিমালাও প্রযোজ্য হবে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, নিয়োগপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের চার বছরের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষকদের মৌলিক প্রশিক্ষণ (বিটিপিটি) সম্পন্ন করতে হবে। মিথ্যা বা ভুয়া সনদ জমা দিলে নিয়োগ বাতিলের পাশাপাশি আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নিয়োগপ্রাপ্তদের আগামী ১০ নভেম্বরের মধ্যে নিজ নিজ কর্মস্থলে যোগদান করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নির্ধারিত সময়ে যোগ না দিলে নিয়োগ আদেশ বাতিল হিসেবে গণ্য হবে। যোগদানপত্র সংশ্লিষ্ট উপজেলা বা থানা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে জমা দিতে হবে। অফিসার প্রত্যয়নপত্র প্রদানের পর বিদ্যালয়ে যোগদানের দিনই চাকরিতে যোগদানের তারিখ হিসেবে ধরা হবে।
নিয়োগকৃত শিক্ষকদের বেতন-ভাতা সরকারি ‘প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহ’ খাত (কোড ১২৪০২০৯০০০০০০) থেকে প্রদান করা হবে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালককে দ্রুত পদায়নের ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এ নিয়োগের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষক সংকটে থাকা বেশ কয়েকটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শূন্যপদ পূরণের আশা করা হচ্ছে বলে মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
সবার দেশ/কেএম




























